রাশিদুল ইসলাম : [২] কান্দাহার ও রাজধানী কাবুলের মাঝের মূল রাস্তাটাই হচ্ছে গজনির। কৌশলগত কারণে সেটি দখলে নেওয়ার পর আফগান সেনাদের সঙ্গে তালেবানদের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। গজনি শহরে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি দখল করে সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে তালেবান।
[৩] সিএনএন’এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে আত্মসমপর্ণ করতে চাইলেও এবং গুলি করতে মানা করলেও তালেবানরা অন্তত ২২ জন কমান্ডোকে গুলি করে হত্যা করে এর ভিডিও প্রকাশ করেছে। নিহতরা আফগান বিশেষ বাহিনীর সদস্য। গত ১৬ জুন আফগান-তুর্কেমেনিস্তান সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। রেডক্রিসেন্ট নিহতেদের লাশ উদ্ধার করেছে।
[৪] গজনি প্রদেশে কাউন্সিলের সদস্য হাসান রেজাই বলেছেন, গজনির পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। নিরাপত্তাবাহিনীর পক্ষে পেরে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।
[৫] আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশে তালেবান অস্ত্রধারীদের সঙ্গে সরকারি সেনাদের যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ। উদ্বাস্তুতে পরিণত হওয়া এসব মানুষ খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে।
[৬] আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তালেবানের গোয়েন্দা প্রধান কারি শাকাসিকে সোমবার ভোররাতে লগার প্রদেশে হত্যা করা হয়। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় আফগান সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৭১ তালেবান নিহত হয়েছে।
[৭] এদিকে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিককে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তালেবানের মুখপাত্র সুহায়েল সাহিন বলেছেন দোহা চুক্তি কাবুল সরকার মেনে চলছে না। উভয় পক্ষকে অবশ্যই একটি সর্ব-আফগানিস্তান ইসলামী সরকারের সাথে একমত হতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এটি জাতীয় পুনর্মিলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন তালেবান মুখপাত্র।
https://videos.dailymail.co.uk/video/mol/2021/07/13/8775905840734059303/640x360_MP4_8775905840734059303.mp4