মুশফিক ওয়াদুদ: আমেরিকাতে ফরেন পলিসি নিয়ে যারা লেখেন তাঁদের অনেকের লেখাই পড়ি নিয়েমিত। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে তাঁদের লেখা পড়ছিলাম কিছু দিন ধরে। প্রায় সবাই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এ পলিসিকে সমর্থন করছেন। তাছাড়া, ২০১২ সাল থেকে পিউ রিসার্চের জরিপ বলছে যে, বেশির ভাগ আমেরিকান আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সৈন্য প্রত্যাহার সমর্থন করেন। অন্য দিকে বাংলাদেশের ফেসবুকে এবং পত্রিকাতে ‘প্রগতিশীল’ এবং সাবেক/বর্তমান মাক্সিস্টদর প্রতিক্রিয়া পড়ছিলাম। যাদের প্রত্যেকেই নিজেদের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী হিসেবে পরিচয় দেন। ‘সাম্রাজ্যবাদ’ শব্দটি ছাড়া এক/দুই বাক্যও লিখতে কিংবা বলতে পারেন না। তাঁদের একটি অংশ আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহারে বেশ অখুশি। অনেকে লিখছেন, আবার এক অন্ধকার যুগে প্রবেশ করছে আফগানিস্তান। ভাবটা এমন বিদেশি সৈন্য থাকার কারণে এতোদিন দেশটি আলোতে ভরপূর ছিলো! কিন্তু এখন এক অন্ধকার অমানিশা ঘিরে ধরেছে।
ভাবছিলাম এ দুটি প্রতিক্রিয়া বেশ আগ্রহ-উদ্দীপক। এই সময় টি ইতিহাস হয়ে থাকবে। একটি পরাশক্তির শাসকরা এবং তাঁদের দেশের বেশির ভাগ জনগণ বিদেশে অন্য একটি দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ চান না কিন্তু ‘সাম্রাজ্যবাদ’বিরোধী ‘প্রগতিশীল’ সাবেক এবং বর্তমান বাম ভাই/বোনদের একটি অংশ পরাশক্তির অন্য দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ চান। বিদায় নিলে অখুশি হন। এ ঘটনায় একটি উপসংহারে হয়তো আমরা আসতে পারি যে, ইসলামিস্ট ঠেকানোর জন্য বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ এবং অগণতন্ত্রতে প্রগতিশীলদের একটি অংশের সমস্যা নেই! ফেসবুক থেকে