স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরে ফিরছে ট্রফি নাকি যাবে রোমে? আশায় বুক বেঁধেছে ইংল্যান্ড। ৫৫ বছরে প্রথম কোনও ট্রফি জেতার মিশন তাদের। ইউরোতে কেবল একটি গোল হজম করা থ্রি লায়নরা প্রস্তুত ইতালিকে রুখে দিতে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে তা দেখতে হাজারে হাজারে দর্শক ভিড় করেছে। যারা স্টেডিয়ামে আসতে পারেননি, তারাও তৈরি হয়ে আছে উৎসবের অপেক্ষায়। জিতলে সোমবার গোটা দিন জমকালো আয়োজনে পার করবে ইংরেজরা। কিন্তু তাদের এই উৎসব মাটি করে দিতে পারে ৩৩ ম্যাচ ধরে অজেয় ইতালি। এখন দেখার অপেক্ষা শেষ হাসি কে হাসে- ইংল্যান্ড নাকি ইতালি? রাত ১টায় শুরু হচ্ছে ফাইনালের মহারণ।
এগিয়ে ইতালি নাকি ইংল্যান্ড?
৫৩ বছরে প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপার দাবিদার ইতালি। ২০০০ ও ২০১২ সালের পরাজিত ফাইনালিস্ট ১৯৬৮ সালে রোমে যুগোস্লাভিয়াকে হারিয়ে শেষ ইউরো জিতেছিল। আর ইংল্যান্ড এই টুর্নামেন্টে কখনও সেমিফাইনালের বাধা পেরোতে পারেনি। ১৯৬৬ সালের পর প্রথম কোনও বড় ট্রফির হাতছোঁয়া দূরত্বে থ্রি লায়নরা। ৫৫ বছর আগে বিশ্বকাপ জয়ই ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের একমাত্র সাফল্য।
রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে ইতালি পৌঁছায় ফাইনালে। আর ইংল্যান্ড হ্যারি কেইনের অতিরিক্ত সময়ের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ডেনমার্কের বিপক্ষে। শিরোপার লড়াইয়ে ইংলিশদের কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। ইতালি যে টানা ৩৪ ম্যাচ ধরে অপরাজিত।
তাছাড়া দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানও কথা বলছে ইতালির পক্ষে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইতালির সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় কেবল দুইবার জিতেছে ইংল্যান্ড। ১৯৯৭ সালের জুনে ২-০ গোলে, আর ২০১৩ সালের আগস্টে ২-১ গোলে- দুটিই ছিল প্রীতি ম্যাচ।
বড় টুর্নামেন্টে ইতালি কখনও ইংল্যান্ডের কাছে হারেনি। ১৯৮০ সালের ইউরোতে ১-০ গোলে জিতেছিল। ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে তাদের জয় ২-১ গোলে। মাঝে ২০১২ সালের ইউরোতে গোলশূন্য স্কোর শেষে পেনাল্টিতে জিতেছিল আজ্জুরিরা।
আপনার মতামত লিখুন :