শাহীন খন্দকার: [২] শনিবার মৃত্যু ও শনাক্ত দুই-ই কমেছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬ হাজার ১৮৯ জন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২১ আর নারী ৬৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৭৫ জন পুরুষ মারা গেছেন, যা মোট মৃত্যুর ৭০ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ৪হাজার ৮১৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন, যা মোট মৃত্যুর ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা প্রেরিত করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৮৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময়ে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
[৩] সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৭৪১টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২টি নমুনা। নতুন শনাক্ত হওয়া ৮ হাজার ৭৭২ জনকে নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫।
[৪] গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৮ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৪, বেসরকারি হাসপাতালে ২৮ এবং বাসায় ১২ জন। অন্যদিকে হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন ১জন। দেশে করোনার ইতিহাসে ৯ জুলাই সর্বোচ্চ ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৫] এছাড়া চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ১১২ জন, ২৫ জুন ১০৮ জন, ২৭ জুন ১১৯ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ৩০ জুন ১১৫ জন, ১ জুলাই ১৪৩ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন, ৩ জুলাই ১৩৪ জন, ৪ জুলাই ১৫৩ জন, ৫ জুলাই ১৬৪ জন, ৬ জুলাই ১৬৩ জন এবং ৭ জুলাই ২০১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
[৬] বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৮৫ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছর বয়সি একজন, এগারো থেকে বিশ বছরের একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সী পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৯২ জন রয়েছেন। বিভাগ ভিত্তিক হিসাবে, ঢাকা বিভাগে ৭০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৫১ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে সাতজন, রংপুর বিভাগে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩জন।
[৭] উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান