নুরে আলম: [২] সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ট্রাম্প যুগে উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম শক্তিধর দুইটি দেশ ছিলো। এই দুইটি দেশ তাদের নিজেদের ইচ্ছা অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর উপরে ইচ্ছামত চাপিয়ে নানা হুমকির ভিতরে রেখেছিলো তাদের। মিডিল ইস্ট আই
[৩] ২০১৫ সাল থেকে আবুধাবির শক্তিশালী নেতা মোহাম্মদ বিন জায়েদ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে তার সহযোগী করে নিয়েছে। গত এক দশকে আরব আমিরাতের ক্রম উন্নতি সম্ভব হয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিটি বিষয় নিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। ইয়েমেন নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণ সমর্থন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তেলের স্থিতিশীল বাজার তৈরিতে অনেক সহযোগিতা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
[৪] ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে সামান্য সামান্য কিছু বিষয় নিয়ে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরেছে। আরব আমিরাতের সাম্প্রতিক বছরে রাজনৈতিক কৌশল, মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সম্পর্ক,নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কৌশলগত পরিবর্তন সহ আরো নানা দিক দিয়ে সৌদির সাথে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হচ্ছে।
[৫] অনেক ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত মিল থাকলেও জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হবার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল হয়ে আছে।
[৬] ট্রাম্প যুগের অবসানের পর এই দুই নেতার মধ্যে মাত্র একবার ফোনালাপ হয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট যে, বাইডেনের অধীনে সৌদি ও আরব আমিরাতের দুই দেশের মধ্যে অবাধ সম্পর্কে একটি বড় বাঁধা আসছে। উভয়দেশকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনুমতি নিতে হবে যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য।
[৭] ইয়েমেন যুদ্ধ, লিবিয়ার সাথে মস্কোর সম্পর্ক, চীনের সাথে বৈশ্বিক তথ্য নিয়ে সঙ্কট এসব বিষয় নিয়ে নানা সমস্যার মধ্যেও রাজনৈতিক সম্পর্ক, মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পর্ক এবং অন্যান্য নাগরিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলেও দুই দেশের মধ্যে একটি সম্পর্ক রাখতেই হচ্ছে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :