শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২১, ০৩:১২ রাত
আপডেট : ০৭ জুলাই, ২০২১, ০৩:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মো. সামসুল ইসলাম: দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যখন কোভিডে ধুঁকছে, তখন বুদ্ধিজীবীর তালিকা নিয়ে অনেকের দরকষাকষি বিস্ময়কর!

মো. সামসুল ইসলাম: ফেসবুকে দেখছি বাংলাদেশের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবীদের তালিকা এবং পাল্টা তালিকা দেওয়া হচ্ছে। যে দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিশ্বের প্রথম ৭শর মধ্যে নেই, গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্সে যে দেশের অবস্থান এমনকি দক্ষিণ এশিয়াতেও তলানিতে, সে দেশে বুদ্ধিজীবীদের তালিকা আসলেই সাধারণ মানুষের জন্য কৌতূ । মানুষজন তাই ঝাঁপিয়ে পড়ছে এসব তালিকা ফেসবুকে দেখতে। প্রথমেই বলি বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করাটা বিতর্কের ব্যাপার। আমিও এ বিতর্কে ঢুকতে চাচ্ছিলাম না। আমি এ কারণে শুধু লিখছি যে, তরুণ সাংবাদিক বা সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীরা যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের প্রচারণার ফাঁদে না পড়ে। সমাজে বুদ্ধিজীবী চেনা কিন্তু কঠিন কোনো কাজ নয়। একাত্তর সালে পাকিস্তানিরা ঠিকই চিনেছিলো যে কারা এদেশের বুদ্ধিজীবী। তাদের ঠিকই উঠিয়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এমনই ছিলো সেসব বুদ্ধিজীবীর সামাজিক প্রভাব।

দেশের প্রান্তিক এলাকার জনগণ যখন কোভিডে ধুঁকছে, ইনফেকশন রেট যখন ৩০ শতাংশের কাছাকাছি তখন বুদ্ধিজীবীর তালিকা নিয়ে অনেকের দরকষাকষি আমার কাছে বিস্ময়কর ঠেকছে। আরও বিস্ময়কর ঠেকছে বুদ্ধিজীবী বা ইন্টেলেকচুয়াল শব্দের সঙ্গে পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল, অ্যাক্টিভিস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট, সোশ্যাল ও পলিটিক্যাল ওয়ার্কার এ শব্দগুলো গুলিয়ে ফেলা। বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে তেমন কোনো অবদান না থাকলেও তাই তালিকাতে যুক্ত হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নির্দিষ্ট পরিসরে লেখালেখি করা বা অ্যক্টিভিজম করা লোকজন। তারা নিজেরাই নিজেদের তালিকা তৈরি করে বিলিয়ে যাচ্ছেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের তো peer recognition  থাকতে হবে। বুদ্ধিজীবীর আইডিয়াগুলো তো সমাজে আলোচিত হতে হবে।

কারা এসব বুদ্ধিজীবী? তাদের কে চিনে? আমি সব বয়সের সাম্প্রতিক বুদ্ধিজীবীদের কথা বলছি। তালিকায় দেখলাম মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট লেখক সাংবাদিক আফসান চৌধুরীর নাম নেই, নেই পুরো সাউথ এশিয়ায় পরিচিত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ড. ইমতিয়াজ আহমেদের নাম, নেই বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নাম, নেই ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নাম, নেই টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নাম, নেই ড. আলী রীয়াজের নাম। এরকম আরও অনেকর নাম নেই। একইভাবে আরও অনেক পন্ডিত ব্যক্তির নাম বলতে পারি যারা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত। তারা অনেকেই পন্ডিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের কারোরই নাম নেই।

দেশি-বিদেশি মিডিয়া দেখার সুবাদে বলতে পারি যে বাংলাদেশের যে বিশিষ্ট ব্যক্তি এই কোভিডকালে সবচয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন তিনি হচ্ছেন ড. তারেক আলম, আইভারমেক্টিন নিয়ে প্রাথমিক গবেষণার কারণে। বিশ্বে তার এবং তার মতো কয়েকজনের এই প্রাথমিক গবেষণার ফলে করোনার বিরুদ্ধে এ ওষুধের ব্যবহারের পক্ষে বিশ্বব্যাপী একটা grassroot movement গড়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৩০০০ চিকিৎসক, ভাইরোলজিস্টরা মিলে গড়ে তুলেছেন এক নেটওয়ার্ক। হু, এফডিএ আর বিগ ফার্মার বিরুদ্ধে তারা লড়াই করে যাচ্ছেন। Iver-me-ctin MD Team তাদের ফেসবুক গ্রুপে পাওয়া যাবে। আমি দেখেছি ড. তারেক আলম সেখানে সুপরিচিত নাম। আগ্রহীরা আমার সঙ্গে এ ওষুধ নিয়ে বিতর্ক না করে সেই গ্রুপে সদস্যদের অভিজ্ঞতা আর রিসার্চগুলো দেখতে পারেন। তাদের সঙ্গে বিতর্ক করতে পারেন। বলাবাহুল্য, ড. তারেক আলমের নামও বুদ্ধিজীবীর এই তালিকায় নেই। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের বলবো শুধু ফেক নিউজ নিয়ে সতর্ক থাকলে হবে না। ফেক বা স্যুডো ইন্টেলেকচুয়ালদের বিরুদ্ধেও সতর্ক থাকতে হবে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়