লিহান লিমা: [২] জুনের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ (পিপিডি) প্রধান প্রধান টেলিকমিউনিকেশন ফার্মের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীদের (মিয়ানমারের নাগরিক ও বিদেশী) এক গোপন নির্দেশে জানায়, দেশ ছাড়লে হলে তাদের অবশ্যই কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। রয়টার্স
[৩]এক সপ্তাহ পর টেলিকম কোম্পানিগুলোকে দ্বিতীয় আরেকটি চিঠি প্রেরণ করে ইন্টারসেপ্ট প্রযুক্তি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়, যাতে কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীদের কল, মেসেজ ও ওয়েব ট্রাফিক ট্র্যাক করতে পারে। ক্ষমতায় আসার পর পরই জান্তা সরকার সাইবার সিকিউরিটি বিল পাশ করার ঘোষণা দেয় যার আওতায় টেলিকম কোম্পানিগুলো ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীকে ইন্টারসেপ্টের বাহিরে রাখতে গোপনীয়তা আইন সংশোধন করা হয়।
[৪]নাম প্রকাশ না করা শর্তে টেলিকম কোম্পানিগুলোর এক সূত্র জানায়, টেলিকম কোম্পানিগুলোকে স্পাইওয়্যার প্রযুক্তি সক্রিয় করতে চাপ প্রয়োগ করাই এই নির্দেশের উদ্দেশ্য। অপর তিন টেলিকম সূত্র জানায়, জান্তা সরকার ইন্টারসেপ্ট বাস্তবায়ন করতে ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে। দুইটি সূত্র জানিয়েছে, মিডিয়াতে কথা না বলার জন্য বারবার সতর্ক করা হয়েছে।
[৫]জান্তা সরকার নজরদারী প্রযুক্তি কতটা বিস্তৃতভাবে স্থাপনে সক্ষম হয়েছে তা জানা যায় নি। তবে চারটি সূত্র জানায়, নরওয়ের টেলিনোর ও কাতারের ওরেডো এখনো নির্দেশনা পুরোপুরি অনুসরণ করে নি। ভিয়েতনামের ভিয়েটেল ও মিয়ানমারের সামরিক মালিকানাধীন ওরেডুর, রাষ্ট্রায়াত্ত এমিপিটি ও মাইটেল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয় নি।
[৬]সরকারের ধর-পাকড়ে মিয়ানমারের টেলিকম সেক্টরের ভবিষ্যত অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে। টেলিনর জানিয়েছে তারা মিয়ানমারের ইউনিট বিক্রি করতে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :