শিরোনাম
◈ মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যা বললেন র‌্যাব (ভিডিও) ◈ বেনাপোল বন্দরে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক ◈ ভারত- ইংল‌্যান্ড টেস্ট সি‌রি‌জে বাংলা‌দে‌শের  সৈকতের আম্পায়ারিং বিতর্ক ◈ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, অ্যাসিড নিক্ষেপে শিশুসহ দগ্ধ ৩ ◈ বাংলাসহ বিশ্বের ৩৫ ভাষায় শোনা যাবে মক্কার জুমার খুতবা ◈ শাজাহানপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ কনষ্টেবলকে গণধোলাই  ◈ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন হুমকির মুখে: শিল্প, বিষ, পর্যটন ও জলবায়ুর প্রভাবে বিপন্ন জীববৈচিত্র্য ◈ উচ্ছেদের ৪৫ দিনের মাথায় ফের গজিয়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা: বাগেরহাটে সড়কপথে আবারও বিশৃঙ্খলা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইটে ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেপ্তার ◈ মুরাদনগরে নিখোঁজের একদিন পর বড় ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার, মাটিচাপা অবস্থায় মিলল ছোট ভাইয়ের ঘরে

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৪:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উন্নয়ন প্রকল্পে ৫০ শতাংশের বেশি গাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি

নিউজ ডেস্ক: পাশাপাশি সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে পরিবহণ কেনা ও প্রতিস্থাপনে বরাদ্দের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় করা যাবে না। এসব খাতে চলতি বাজেটে মোট বরাদ্দের ৪ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা স্থগিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত সমর্থন করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় ভালো নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা। খুব স্বল্প সময়ে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। অপরদিকে করোনার কারণে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে গাড়ি কেনা সীমিতকরণ করায় এটি ভালো উদ্যোগ। এমনিতে এসব খাতে অপচয় ও অপব্যবহার বেশি হয়।

অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধনের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সারা দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার যে কঠোর লকডাউন দিয়েছে সেটি অর্থবছরের প্রথম দিনই থেকেই চলছে। ফলে নতুন অর্থবছরের শুরুতে অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। সব ধরনের ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। হোটেল, পর্যটন কেন্দ্র, উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ আছে। ফলে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সেটি অর্জন করা খুবই কঠিন হবে। আর আয় না করতে পারলে ব্যয় করা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে অর্থবছর শুরুতে ব্যয় কমানোর পক্ষে হাঁটছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত বুধবার জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পাশ হয়েছে। নতুন বাজেট পাশের একদিন পর অর্থাৎ বাজেট বাস্তবায়নের প্রথম দিনই পরিবহণ কেনাকাটার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অর্থ বিভাগ। বাজেটে পরিবহণ কেনাকাটা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে নতুন পরিবহণ ক্রয় ও প্রতিস্থাপনে ব্যয় করার কথা। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাজেটে এ খাতে বরাদ্দের ৫০ শতাংশ ব্যয় করতে পারবে। সেখানে আরও বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। আর অবিলম্বে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ ইসমাইল স্বাক্ষরিত এ পরিপত্র অতি জরুরি হিসাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সরকারের কৃচ্ছ সাধন নীতির আলোকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সব প্রকার নতুন ও প্রতিস্থাপন যানবাহন কেনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট খাতের বরাদ্দকৃত বাজেটের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করতে পারবে। চলতি অর্থবছরের পরিচালনা ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের যানবাহন কেনা ও প্রতিস্থাপনে এ নির্দেশ বহাল থাকবে। সূত্র মতে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের আওতায় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার হচ্ছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন গাড়ি কেনাকাটা করে থাকেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশের আলোকে প্রকল্পের গাড়ি কেনাকাটার ব্যয়ের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারবে না।

সূত্র আরও জানায়, সরকারের কৃচ্ছ সাধনের আওতায় আগামীতে সরকারি চাকরিজীবীদের প্রশিক্ষণ বরাদ্দ কমতে পারে। কারণ করোনার মধ্যে কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হচ্ছে না। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কৃচ্ছ সাধন ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে কাজ করছে অর্থ বিভাগ।

উল্লেখ্য, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে সরকার ব্যয় কৃচ্ছ সাধন পথে হাঁটছেন। এতে সরকারের সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সাশ্রয়কৃত অর্থ গুরুত্বপূর্ণ অন্য খাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বাজেট) সিরাজুর নুর চৌধুরী জানান, বিদায়ী অর্থবছরে ভ্রমণ খাত, সরকারি চাকরিজীবীদের প্রশিক্ষণ ভাতা, বিভিন্ন অফিসে নতুন পরিবহণ ক্রয় এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১৫ শতাংশ ব্যয় স্থগিত করা হয়েছিল। এসব সিদ্ধান্তের কারণে যে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে সেটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়