ডেস্ক রিপোর্ট: একটি সম্পর্কে থাকলে অনেকেই দুই ধরণের মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন। একটি হচ্ছে শারীরিক অত্যাচার এবং অপরটি মানসিক যন্ত্রণা। শারীরিক অত্যাচারের চিহ্ন থাকে এবং তা বলে অন্তত অন্য আরেকজনকে মনের যন্ত্রণাটি বোঝানো যায়। কিন্তু মানসিক যন্ত্রণা কাওকে বলে বোঝানো যায় না এবং এই যন্ত্রণার ক্ষত কাওকে দেখানোও যায় না।
প্রেম বা সামজিক বিয়ে, সব সংসারেই কিছু ঝগড়া বিবাদের ঘটনা ঘটে। তবে কখনও কখনও এই বিবাদে ঘর ভাঙছে। এরকম ঘটনা আজকাল দেশ বা বিদেশ সব জায়গাই প্রায়ই হচ্ছে। তবে নতুন সম্পর্কের শুরুতেই যদি বোঝা যায় সঙ্গীর আচরণ কেমন হবে বা তিনি কি অত্যাচার করবেন কিনা, তাহলে হয়তো সংসারকে সুখের করতে কিছু সতর্ক পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
নতুন সম্পর্ক কেমন হবে তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে সবাই। যাতে পরে কষ্ট পেতে না হয়। কিন্তু কীভাবে শুরুতেই বোঝা সম্ভব যে, সেই সম্পর্ক গড়াবে কোন দিকে?
এ কাজ কঠিন। তবে সবারই নিজস্ব পদ্ধতি থাকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার। তাই বলে কি বুঝে নেওয়া সম্ভব যে সঙ্গী পরবর্তীকালে অত্যাচারও করতে পারেন কিনা?
চোখ-কান খোলা রেখে চলতে হবে। সঙ্গীর বিভিন্ন আচরণের কারণ বুঝতে হবে। কোন ধরনের কাজ দেখলে বুঝতে হবে যে, আগামী দিনে সমস্যা হতে পারে?
১) সঙ্গীর পছন্দমতো কোনও কাজ না করলে কি বারবার তা নিয়ে কথা বলেন? বোঝাতে চান যে সে কাজ ভুল হয়েছে? তবে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার মধ্যে কমই আছে। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
২) অল্পেই রেগে যান? এমন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার সময় এগোতে হবে সাবধানে। একটু অন্য রকম কিছু দেখলেই তিনি রাগ প্রকাশ করেন, তবে আগামী দিন আরও কঠিন হতে পারে।
৩) নিজের জীবনের অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখেন কি সঙ্গী? সব কথা আপনার সঙ্গে ভাগ করে নেন না? এত লুকোচুরির কারণ জানার চেষ্টা করা অবশ্যই জরুরি।
আগামী দিনে এই সব ঘটনাই সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তা বেশি এগোতে দিলে অনেক ক্ষেত্রে মানসিক বা শারীরিক অত্যাচারের কথাও শোনা যায়। ফলে প্রথম ধাপেই সঙ্গীর খারাপ দিকগুলো মাথায় নিয়ে সাবধানের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। সূত্র: ডেইলি হান্ট