শাহীন খন্দকার: [২] শনিবার পর্যন্ত ৫৪৭ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়েছে বিএসএমএমইতে, যার ৯৭ শতাংশই শিশু । শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে স্কুল ছাত্র অপূর্ব চক্রবর্তীকে ব্যয়বহুল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সাউন্ড প্রফেসর বিনামূল্যে প্রদানকালে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
[৩] অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, সময়মতো শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করলে কানে শুনতে পারে, কথা বলতে পারে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। তাই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিষয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে আরো সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।
[৪] তিনি বলেন,অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বিএসএমএমইউ বিনামূল্যে প্রদান করছে। তিনি আরো বলেন, অপূর্ব চক্রবর্তীকে ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস প্রদান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়। বর্তমানে সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে এবং স্কুলে লেখাপড়া করছে।
[৫] কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কর্মসূচীর পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার জানান, শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অধিকমাত্রায় কার্যকরী।
[৬] এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সিন্ডিকেট মেম্বার ও অটোল্যারিংগোলজি হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কান লাল সাহা প্রমুখ। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান