শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০২১, ০৩:১০ দুপুর
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২১, ০৩:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] উখিয়ায় অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা তিন দিন পর বাড়ি ফিরলেন

কায়সার হামিদ: [২] উখিয়ায় অপহৃত হওয়ার তিন দিন পর বাড়ি ফিরেছেন উপজেলার কুতুপালংয়ে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংকিং) শাখায় ক্যাশিয়ারের দায়িত্বরত হামিদ হোসেন (২১)। শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে বালুখালী ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মরা আমগাছতলায় তাঁকে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

[৩] হামিদের চাচাতো ভাই হারুনুর রশীদ বলেন,শুক্রবার রাত ১১টার কিছু পরে অপহরণকারীরা হামিদকে ছেড়ে দেয়। মুক্তি পেয়ে হামিদ পরিবারের কাছে চলে আসে।

[৪] মুক্তি পাওয়ার পর হামিদ বলেন, 'বালুখালীর পানবাজার থেকে তিন রোহিঙ্গা যুবক ছুরি ধরে আমাকে অপহরণ করে ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানের একটি বাসায় আমাকে চোখ বেঁধে ফেলে রাখে। তারপর একজন আমাকে থাপ্পড় মেরে বলে, ব্যাংকে চাকরি করিস, ২০ লাখ টাকা দিতে হবে, না দিলে  মেরে ফেলা হবে। আমি তাঁদের বলি, মাত্র ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি, ২০ লাখ টাকা কোথায় থেকে দেবো।

[৫] হামিদ আরও বলেন, (শুক্রবার) রাতে আমাকে দুজন দুই হাতে ধরে চোখ বেঁধে মরা আমগাছতলায় নিয়ে আসে, তারপর আমার চোখ খুলে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে।

[৬] এর আগে উখিয়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া গ্রামের খাইরুল আলমের পুত্র ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ বুধবার (৩০ জুন) নিজ বাড়ি থেকে কর্মস্থল উখিয়ার কুতুপালংয়ে যাওয়ার পথে বালুখালী পানবাজার এলাকায় নিখোঁজ হন। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার দিন উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হামিদের বাবা খাইরুল আলম।

[৭] অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তালহা নামে এক ব্যক্তি হামিদকে ফোন দেয়। ওই ব্যক্তি তাঁকে বালুখালী পানবাজার এলাকায় দেখা করার জন্য বলে। একই সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল হামিদের, কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। অভিযোগপত্রে খাইরুল আলম দাবি করেন, রোহিঙ্গাদের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা হামিদকে তুলে নিয়ে গেছে।

[৮] খাইরুল আলম জানান, হামিদ নিখোঁজ হওয়ার পরদিন অজ্ঞাতপরিচয় থেকে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামিদের গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, কিছুদিন আগেও একই এলাকার এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। পরে ওই অটোরিকশা চালক ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছে। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়