শিরোনাম
◈ পা‌কিস্তা‌নের বিমান হামলায় আফগানিস্তানে  তিন ক্রিকেটারসহ নিহত ৮, নিন্দা আফগান ক্রিকেট বো‌র্ডের ◈ ইসরা‌য়ে‌লে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, আমেরিকাই গাজা যুদ্ধের মূল স্থপতি: গ‌বেষণা ◈ ও‌য়েস্ট ই‌ন্ডিজ থে‌কে বাংলাদেশ অ‌নেক শ‌ক্তিশালী: কোচ ড‌্যা‌রেন স্যামি  ◈ ক্রিকে‌টে আগামী বছর থে‌কে চালু হচ্ছে টেস্ট-টোয়েন্টি ◈ ছি‌লেন বিমানচালক এখন জিম্বাবুয়ে দলে অলরাউন্ডার নাকভি ◈ চাইনিজ তাইপের কাছে হেরে গে‌লো বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ সই হলো জুলাই সনদ, সংশয় কি কাটলো? ◈ পুলিশ পরিচয়ে বাসায় ঢুকে হামলা-লুটপাট, ভিডিও ভাইরাল ◈ চট্টগ্রামে ৮ কারখানা বন্ধ ঘোষণা ◈ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, এক সপ্তাহে ১৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০২১, ০৩:১০ দুপুর
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২১, ০৩:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] উখিয়ায় অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা তিন দিন পর বাড়ি ফিরলেন

কায়সার হামিদ: [২] উখিয়ায় অপহৃত হওয়ার তিন দিন পর বাড়ি ফিরেছেন উপজেলার কুতুপালংয়ে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংকিং) শাখায় ক্যাশিয়ারের দায়িত্বরত হামিদ হোসেন (২১)। শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে বালুখালী ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মরা আমগাছতলায় তাঁকে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

[৩] হামিদের চাচাতো ভাই হারুনুর রশীদ বলেন,শুক্রবার রাত ১১টার কিছু পরে অপহরণকারীরা হামিদকে ছেড়ে দেয়। মুক্তি পেয়ে হামিদ পরিবারের কাছে চলে আসে।

[৪] মুক্তি পাওয়ার পর হামিদ বলেন, 'বালুখালীর পানবাজার থেকে তিন রোহিঙ্গা যুবক ছুরি ধরে আমাকে অপহরণ করে ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানের একটি বাসায় আমাকে চোখ বেঁধে ফেলে রাখে। তারপর একজন আমাকে থাপ্পড় মেরে বলে, ব্যাংকে চাকরি করিস, ২০ লাখ টাকা দিতে হবে, না দিলে  মেরে ফেলা হবে। আমি তাঁদের বলি, মাত্র ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি, ২০ লাখ টাকা কোথায় থেকে দেবো।

[৫] হামিদ আরও বলেন, (শুক্রবার) রাতে আমাকে দুজন দুই হাতে ধরে চোখ বেঁধে মরা আমগাছতলায় নিয়ে আসে, তারপর আমার চোখ খুলে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে।

[৬] এর আগে উখিয়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া গ্রামের খাইরুল আলমের পুত্র ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ বুধবার (৩০ জুন) নিজ বাড়ি থেকে কর্মস্থল উখিয়ার কুতুপালংয়ে যাওয়ার পথে বালুখালী পানবাজার এলাকায় নিখোঁজ হন। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার দিন উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হামিদের বাবা খাইরুল আলম।

[৭] অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তালহা নামে এক ব্যক্তি হামিদকে ফোন দেয়। ওই ব্যক্তি তাঁকে বালুখালী পানবাজার এলাকায় দেখা করার জন্য বলে। একই সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল হামিদের, কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। অভিযোগপত্রে খাইরুল আলম দাবি করেন, রোহিঙ্গাদের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা হামিদকে তুলে নিয়ে গেছে।

[৮] খাইরুল আলম জানান, হামিদ নিখোঁজ হওয়ার পরদিন অজ্ঞাতপরিচয় থেকে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামিদের গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, কিছুদিন আগেও একই এলাকার এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। পরে ওই অটোরিকশা চালক ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছে। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়