আব্দুল্লাহ মামুন: [২] গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘ওয়ার্ল্ড র্যাকিং’এ পিছিয়ে পড়ছে। প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক খ্যাতি (৪০%), চাকরির বাজারে সুনাম (১০%), শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত গবেষণা ও প্রকাশনা (২০%), আন্তর্জাতিক শিক্ষক (৫%) ও শিক্ষার্থী (৫%) সংখ্যা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত (২০%) এর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বিবেচনা করা হয়।
[৩] অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ও ইফতেখার ইকবাল এক যৌথ গবেষণায় বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বৈশিষ্ট নির্ধারণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে গবেষণাধমী, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কমিয়ে আনতে হবে ১:১০ এ। ৭৩’র অধ্যাদেশ সংশোধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
[৪] গত তিন অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেট কমেছে। ঢাবিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গবেষণায় বরাদ্দ ছিলো ৬.৬৬ শতাংশ। ২০১৯-২০ সেশনে ৫.৪ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে গবেষণায় ৪.৭ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়।
[৫] অধ্যাপক হাদী খান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ অর্থবছরের গবেষনা খাতে সাড়ে ৯ কোটি টাকা বারদ্দের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
[৬] ইউজিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, সম্মিলিত গবেষণা প্রকল্প, সহযোগীতা, বরাদ্দ ও এমওইউ না থাকার কারণে উন্নত মানের গবেষণা হচ্ছে না।
[৭] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন পদ্ধতি পরিবর্তন করে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। সম্পাদনা: তাপসী রাবেয়া