তপু সরকার: [২] শেরপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও সড়কে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান রয়েছে। জেলায় ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সঙ্গে আছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হোটেল-রেস্তোরাঁ, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
[৩] সরকারী নির্দেশনায় লকডাউন বাস্তবায়নে এসব কার্যক্রম তদারকি করতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
[৪] বৃহস্প্রতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে শুক্রবার বিকেল পযর্ন্ত শেরপুরের থানামোড়, খোয়ারপাড়মোড়, বাষ্ট্যান্ড, মুন্সিবাজার রোড়,শহীদ বুল বুল সড়ক, বটতলা, নারায়য়নপুর, নবীনগর মোড়, শেরীঘাট মোড়, কুসুম হাটি বাজার, হাসপাতাল রোড, ট্রাকটার্মিনাল সহ জেলার বেশ কিছু সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
[৫] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি টহল দিচ্ছে সড়কে। আগের দিন প্রশাসনের কড়া অবস্থানের কারণে অনেকেই আজ ঘর থেকে বের হননি। যারা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া বের হয়েছেন তাদের অনেককে জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে।
[৬] জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলায় গত দু’দিনের লকডাউনে ১৩১টি মামলার মধ্য শেরপুর সদরে-৪৯টি, নকলায়-২৭টি নালিতাবাড়ীতে-২৫, শ্রীবরদীতে-১৫টি, ঝিনাইগাতীতে ১৫টি।
[৭] জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেন, জনসাধারণকে সরকারি বিধিনিষেধ মানাতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনও করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের হার কমাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানেই থাকবে। এ সময়টাতে সবাইকে ঘরেই থাকতে হবে। বিনা কারণে বের হওয়া যাবে না। তবে যাদের খাদ্য সংকট হবে তারা যদি আমাদের জানান তাহলে তাদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে।
[৮] এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলায় ২৩৩ অভিযানে ১৩১টি মামলায় মোট-৮০.৯০০ জরিমানা করা হয়। সম্পাদনা: হ্যাপি