লুৎফর রহমান হিমেল: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বুদ্ধদেব বসু, মুনীর চৌধুরী, স্যার এ এফ রহমান, শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী), এরকম অগণন কৃতী শিক্ষার্থী সৃষ্টি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কাজী নজরুল ইসলাম, সত্যেন বোস, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, শ্রীনিবাস কৃষ্ণান, কাজী মোতাহার হোসেন, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রমেশ চন্দ্র মজুমদার, জিএইচ ল্যাংলি, প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক, সরদার ফজলুল করিম, আনিসুজ্জামান, এমন অগুনতি কৃতী সন্তানের স্মৃতিধন্য এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবং আরও অসংখ্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমিও পড়ালেখা করেছি এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি কিছুই হতে পারিনি। তবে ওপরে উল্লেখ করা ব্যক্তিবর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ণ করে অনেক কিছুই হয়েছেন, সমাজের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। তাদের আলোকবর্তিকা এখনও এ দেশকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। এখান থেকেই রাজনীতির মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছেন দেশের অধিকাংশ প্রথিতযশা রাজনৈতিক নেতানেত্রী। দেশের প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাখছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। নানা শ্রেণিপেশার নের্তৃত্ব দিচ্ছেন অনেকে। এটি সেই বিশ্ববিদ্যালয়, যে বিশ্ববিদ্যালয় তার দেশের প্রাণের ভাষা বাঙলার জন্য আন্দোলনে শীর্ষভাগে ছিলো। দেশের স্বাধীনতার লাল সূর্যটা ছিনিয়ে আনবার নেতৃত্বে ছিলো এই শিক্ষালয়টিই। নব্বইয়ে স্বৈরাচার হঠানোর আন্দোলনেও এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো পুরোভাগে। এসব কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু তার শিক্ষার্থীদের জন্যই গর্বের নয়; গোটা জাতির জন্যই গর্বের। এই বিশ্ববিদ্যালয় তাই সবার। ভালবাসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তোমার জন্মশতবর্ষে ভালোবাসার অর্ঘ্য। ১৭ আষাঢ় ১৪২৮। ১ জুলাই ২০২১। বৃহস্পতিবার। ফেসবুক থেকে