আল আমীন : [২] বৃহস্পতিবার(১জুলাই) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনে মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালনার জন্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতায় থাকছে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনী।
[৩] জানা যায়, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড থেকে ৩৩ নং ওয়ার্ড এই ২০টি ওয়ার্ডসহ জেলার নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, গৌরীপুর, ত্রিশাল, ভালুকা, ফুলবাড়ীয়া, মুক্তাগাছা উপজেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১২ নং ওয়ার্ডে এই ১২টি ওয়ার্ডে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া ৫ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ময়মনসিংহ নগরীর ১৬টি পয়েন্টে দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। ১৬টি পয়েন্ট হলো- পাটগুদাম এলাকা, শম্ভুগঞ্জ এলাকা, দিগারকান্দা, কাঁচিঝুলি, রহমতপুর বাইপাস, সি.কে ঘোষ রোড, চরপাড়া, দিড়ারকান্দা, আকুয়া, ফুলবাড়ীয়া বাইপাস ও জেলাস্কুল মোড়ে দায়িত্ব পালন করবেন। অপরদিকে, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সদস্যরা নতুন বাজার, টাউন হল, জয়নুল আবেদিন পার্ক, ডিসি অফিস, আনন্দ মোহন কলেজ এরিয়ায় দায়িত্ব পালন করছেন।
[৪] এদিকে, বুধবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশে ১০৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। আদেশে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’র ১০(৫) ধারা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর ৫ ধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আওতাধীন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
[৫] এদিকে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক। এ সময় পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট আয়েশা হক উপস্থিত ছিলেন।
[৬] ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েশা হক বলেন, বিধিনিষেধ কার্যকর করতে জেলায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে রয়েছেন।
[৭] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে আদেশে।
[৮] প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
[৯] জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ এবং টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভাগসমূহ এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ