শরীফা খাতুন : [২] এ সময়ে নতুন করে ১ হাজার ২৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে খুলনা বিভাগে মঙ্গলবার ২৯ জুন সর্বোচ্চ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আজ সেই রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ৩৯ জনের মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৩] এদিকে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছি। সংকট দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। ফলে রোগীদের দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসক ও সেবিকাদের সেবা প্রদানে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
[৪] বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে খুলনায় আটজন, কুষ্টিয়ায় সাত জন, যশোরে সাতজন, ঝিনাইদহে চারজন, সাতক্ষীরায় চারজন, মেহেরপুরে তিনজন, নড়াইলে তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় দুজন ও বাগেরহাটে একজন মারা গেছেন।
[৫] খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৫৭ হাজার ৫২০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১০৯ জন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮ হাজার ৯৩০ জন।
[৬] সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার হাসপাতালগুলোতে করোনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্য খুলনা জেলার চারজন রয়েছেন। খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৬৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৪২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ৩৮ শতাংশ।
[৭] বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪২ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৯৪০ জনের। এ সময় মারা গেছেন ২৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৯৭৮ জন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ