শিরোনাম
◈ আগামী নির্বাচনে কেউই একক নয়—জোট-সমীকরণে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল ◈ চরম সংকটে থাকা যে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে (ভিডিও) ◈ নতুন সভাপতি নিয়োগ ২১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, দেখুন তালিকা ◈ টিউলিপের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ার দাবি ‘সম্পূর্ণ অসত্য’: দুদক ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত, সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় মেডিক্যাল বোর্ড ◈ এবার মাহাথির মোহাম্মদ পুলিশ রিপোর্ট করলেন অনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে! ◈ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত, বুধবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা ◈ নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট আসছে বৃহস্পতিবার বাজারে ◈ আফ্রিকা হতে পারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির হাব ◈ খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন তিন বাহিনী প্রধান

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:২৪ রাত
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতি—ইমিগ্রেশন কোর্টে মামলার পাহাড়, বিচারক ছাঁটাই অব্যাহত

চরম সংকটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রর ইমিগ্রেশন বিভাগ। দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি। এরইমধ্যে আরও ৮ বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির ফেডারেল ভবনে অবস্থিত এই কোর্ট। ইমিগ্রেশন কোর্টের ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইমিগ্রেশন জাজ’-এর তথ্য উদ্ধৃত করে একটি শীর্ষস্থানীয় মার্কিন দৈনিক মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে।

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইমিগ্রেশন কোর্ট থেকে সর্বমোট ৯০ জন বিচারক বরখাস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নিউইয়র্কের ছিলেন ৬ জন। এর ফলে ইমিগ্রেশন কোর্টের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অভিবাসন আইনজীবীরা।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসনবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়ার মধ্যেই এ বরখাস্তের ঘটনা ঘটেছে। আইন অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের পর বহিষ্কার আদেশ জারি হওয়ার আগে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্তু বিচারকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক আটক ব্যক্তিই সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলে মনে করছেন এটর্নীরা।

বরখাস্ত হওয়া বিচারকদের মধ্যে অন্যতম হলেন আমিনা এ. খান, যিনি নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোর্টের সুপারভাইজিং বিচারক ছিলেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ৯০ জনের বিপরীতে এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩৬ জনকে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৬০০টিরও বেশি ইমিগ্রেশন কোর্টে বর্তমানে প্রায় ৩৭ লাখ মামলা ঝুলে রয়েছে। এসব মামলার ওপর নির্ভর করছে রাজনৈতিক আশ্রয়, পারিবারিক কোটা, ভিসা জটিলতা কিংবা স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টমেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানসম্মত ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।

ইতিমধ্যেই বিচারক সংকটের কারণে বহু মামলার নতুন তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। আরও জানা গেছে, অনেক আশ্রয় আবেদন শুনানি ছাড়াই সরকারের পক্ষ থেকে বাতিলের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান অভিবাসীর গুলিতে ন্যাশনাল গার্ডের এক সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানসহ ১৯ দেশের নাগরিকদের ভিসা নিষিদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে আশ্রয়সংক্রান্ত ঝুলে থাকা মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও পারিবারিক কোটার ইমিগ্রেশন প্রসেসিং স্থগিত রাখা হয়েছে।

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ—একজন ব্যক্তির অপরাধের দায় পুরো বিশ্বের অসহায় অভিবাসীদের ওপর চাপানো হচ্ছে, যা অমানবিক ও আইনের চেতনাবিরোধী।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়