সুমাইয়া ঐশী: [২]ঋণ শোধ করতে হবে পড়ালেখা শেষে চাকরি পাওয়ার এক বছর পর। [৩] বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলের দেওয়া প্রতিশ্রুতির একটি ছিলো শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্রেডিট কার্ড চালু করা। বুধবার তা পালন করে পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এই কার্ডের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা সহজ সুদে ১০ লাখ রুপি পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
[৪] শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাসহ বিদেশে পড়ালেখা বা গবেষণার জন্যও এই কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নেওয়া যাবে। এই ক্রেডিট কার্ড থেকে নেওয়া ঋণ তাৎক্ষণিক পরিশোধ করতে হবে না শিক্ষার্থীদের। পড়াশোনা শেষে চাকরি পাওয়ার এক বছর পর থেকে এই অর্থ পরিশোধ করা শুরু করতে পারবেন তারা। এক্ষেত্রে ঐ সময় থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের মধ্যে পুরো ঋণ শোধ করতে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৫] ১০ বছর যাবত যেসব শিক্ষার্থী পশ্চিমবঙ্গে কাটিয়েছেন তারা এই ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে জানান মমতা। দশম শ্রেণী থেকে শুরু করে স্নাতক, স্নাকোত্তর, ডিপ্লোমা, ডক্টরেট বা পোস্ট-ডক্টরেটের জন্য দেওয়া হবে এই ঋণ। এছাড়া যারা জাতীয় স্তরের বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন, আইআইটিএস, আইপিএস, আইএএস, ডব্লিউবিপিএস এবং এনএলইউএস দিতে চায় তারাও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থেকে সুবিধা পাবে। আর এসব কারণে এই কার্ড থেকে ঋণ নেওয়ার বয়সসীমা করা হয়েছে ৪০ বছর।