কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] বুধবার জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, নয় মাস বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দেন দরবারের পর স্বল্পোন্নত দেশের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জেনেভরা ট্রিপস কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
[৩] এতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেয়। এ যাবৎকালে এটিই সর্বোচ্চ সময়ের জন্য বৃদ্ধি। এর আগে যথাক্রমে সাত ও আট বছরের জন্য এ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
[৪] জেনেভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনাটি মোটেও মসৃণ ছিল না। উন্নত দেশসমূহ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বল্প সময়ের বেশি ছাড় দিতে কোনভাবেই রাজি হচ্ছিল না।
[৫] বাংলাদেশের নেতৃত্বে আগের তুলনায় পাঁচ বছরের অধিক সময় পাওয়া গেছে। সেই হিসেবে এই বিশেষ সুবিধা আগামী ১ জুলাই ২০৩৪ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই অর্জনে আমি ও আমার সহকর্মীরা আনন্দিত।
[৬] তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শীঘ্রই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তারপরও আমাদের ইচ্ছা ছিল এই দেশগুলোর জন্য একটা লম্বা সময়ের ছাড় আদায় করে দিয়ে যাওয়া, যাতে করে স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে ঘন ঘন এ সংক্রান্ত আলোচনায় বসতে না হয়।
[৭] আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ বরাবরই স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পক্ষে বিভিন্ন দর কষাকষিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এই মুহূর্তে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ সংক্রান্ত আরেকটি প্রস্তাব বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ পরিষদের বিবেচনাধীন রয়েছে। এই আলোচনাতেও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
[৮] বর্তমানে আফ্রিকার দেশ চাদ সংস্থাটিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। তবে, বাণিজ্য ও মেধাস্বত্ব সম্পর্কিত বিষয়সমূহের আলোচনায় এই দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় নেতৃত্ব প্রদান করছে।
আপনার মতামত লিখুন :