শিরোনাম
◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত ◈ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার ◈ ইন্টার মিলা‌নের জয়, জোড়া গোল করে ইতিহাস লাউতারোর ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের মঙ্গলবারও কর্মবিরতি, হবে না বার্ষিক পরীক্ষা ◈ ২০২৬ থেকে বাধ্যতামূলক সিবিএমএস: বন্ড ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ডিজিটাল যুগে এনবিআর

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২১, ০৪:৫২ দুপুর
আপডেট : ২৫ জুন, ২০২১, ০৪:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শক্ত অবস্থান আর অর্থনৈতিক উন্নতিই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ টিকে থাকার রহস্য

আসিফুজ্জামান পৃথিল : চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সবসময়েই নিজেদের মহান, অসাধারণ আর সঠিক বলে দাবি করে এসেছে। গত শতাব্দির প্রথম ভাগে সোভিয়েত পথ ধরেই গড়ে উঠেছিলো কৃষক শ্রমিকের এই রাজনৈতিক দল। এই দলটি একশ বছর ধরে চীনে সবচেয়ে প্রভাবশালী ভূমিকা রেখেছে। তারা চীনকে বদলেছে, বদলেছে বৈশ্বিক রাজনৈতিক সমীকরণ, তারা বদলে দিয়েছে কমিউনিস্ট রাজনীতির ধরন। শুধু একটুকুতেই সীমিত থাকেনি সিপিসি। তারা মার্ক্সবাদকে পর্যন্ত ‘এডিট’ করে সুবিধামতো বদলে নিয়েছে। ইকোনমিস্ট

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সারা বিশ্ব ভেবেছিলো কমিউনিজম নামের ধারণাটিই তামাদি হয়ে যাবে। বিশ্বের যেসব দেশ তখনও নিজেরে কমিউনিস্ট বলে দাবি করছে, তারা কেউ মুক্ত বাজারের ঢেউয়ে পা না ভিজিয়ে নিজেদের গুটিয়ে রাখতে পারবে না। মুক্ত বাজারের সামনে থাকা যে কোনও বাঁধা শুকনো খড়কুটোর মতো ভেসে যেতে বাধ্য। কমিউনিস্ট পার্টিগুলো এবার শেষ দিন গুনতে পারে। চীনা কুমউনিস্ট পার্টি মুক্তবাজারের সামনে পড়ে ভাঙেনি, বিলীন হয়নি, বরং নিজেদের মুক্তবাজারে ভাসিয়েছে। মাত্র ৩ দশক আগে তারা কমিউনিস্ট পার্টিকে বদলে নেয়। গড়ে ওঠে এক রাজনৈতিক দলভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। চীন যোগ দেয় পুঁজির লড়াইয়ে। তৈরি হয় এক চীন দুই নীতির মতো চমকপ্রদ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাগুলোর ফলে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশটি পরিণত হয় বিশ্বের ২য় বৃহত্তম অর্থনীতিতে। কমিউনিস্ট পার্টি তার লাগাম হারায়নি। বরং এই ৩০ বছরে চৈনিক কমিউনিস্ট পার্টি আরও শক্তিশালী থেকে শক্তিতর হয়েছে।

চীনকে ৭২ বছর ধরে শাসন করছে একটিই দল, যাদের জনতার প্রতি কোনও ম্যান্ডেট নেই। লেলিন ও তার উত্তরসুরীরা মস্কোর ক্ষমতা আর সামান্য বেশি কিছুদিন ধরে রেখেছিলেন। আর কটা বছর গেলেই চীন হবে বিশ্বের ২য় সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কমিউনিস্টশাসিত রাষ্ট্র। এর উপরে থাকবে শুধুই ওয়ার্কার্স পার্টি শাসিত উত্তর কোরিয়া।

ক্ষমতায় এসেই মাও সেতুংয়ের পার্টিকে মোকাবেলা করতে হয়েছে তীব্র দুর্ভিক্ষ। লংমার্চের সময় যারা গুলির হাত থেকে বেঁচে যান, তাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে ক্ষুধাকে। এরপর হয়েছে চিয়াং কাইসেকের প্রতিবিপ্লব। যে দেশে ক্ষুধায় মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে, সে দেশ আজ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে। যে দেশ বৈদেশিক মুদ্রার জন্য ধুকেছে, আজ তাদের আছে সবচেয়ে বড় ফরেন রিজার্ভ।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আজ তার কমিউনিস্ট রূপ হারিয়েছে বলে মনে করেন অনেক কট্টর মার্কসবাদী। দলটি এখন খুব বেশি জাতীয়তাবাদী নীতিতে বিশ্বাসী। তারা সীমান্তের ব্যাপারে কঠোর। অত্যন্ত আবেগপ্রবণ তত্ত্ব আর উইঘুরদের আলাদা অস্তিত্ব স্বীকারে। কিন্তু সারা বিশ্বের পুঁজির স্রোতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নিজেদের নামটি অবশ্য টিকিয়ে রেখেছে, যা অতি সাম্প্রতিক সময়ে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। সম্পাদনা : রাশিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়