মাছুম বিল্লাহ: [২] বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও এন্টারপ্রাইস সিঙ্গাপুর আয়োজিত ‘স্পটলাইট বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে একথা বলেন সিঙ্গাপুরের পরিবহন ও বাণিজ্য সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মি. এস. ঈশ্বরন।
[৩] তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন,‘স্বাধীনতার পর থেকেই সিঙ্গাপুর উন্নয়নের সহযোগী হয়ে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে জড়িয়ে আছে, এই করোনাকালীন সময়ে দুই দেশ একে অপরের সাথে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর অনেক আগ থেকেই বিনিয়োগ করে আসছে, বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রম উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মত, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক কে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এসময়ে তিনি বাংলাদেশে এগ্রো বিজিনিসে, ফুড প্রসেসিং, আইটি, অবকাঠামো উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সেক্টরে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
[৪] ওয়েবিনারে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ কিছু ভিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের ২০২১, এসডিজি বাস্তবায়ন, ২০৩১, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেই লক্ষ্যেই আমারা আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ, একশত ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, গভীর সমুদ্রবন্ধর নির্মাণ সহ বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। যার ফলে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে নিরাপদ লাভজনক বিনিয়োগের অন্যতম ঠিকানা। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৩ তম অর্থনীতির দেশ হলেও ২০৩০ সালে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে। এসময়ে তিনি আরো বলেন সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ রপ্তানিকারক দেশ এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের অনত্যম সহযোগী। আগামীতে এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে ।
[৫] অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত এক দশকে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক ভাবে বেড়েছে, এমনকি এই করোনাকালীন সময়ে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমলেও, সরকার দেশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন। বিনিয়োগ সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমারা ইতোমধ্যে অনেক সংস্কার করেছি এবং করে যাচ্ছি, যা বাংলাদেশকে বিদেশী বিনিয়োগের অন্যতম নিরাপদ গন্তব্যে পরিণত করেছে। সময়ে তিনি সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।