নিঝুম মজুমদার: মুনিয়ার আত্মহত্যা ইস্যুটি আমাকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে ভোরের পাতা নামক একটি অনলাইন পত্রিকা (যাদের মালিকানা একটি বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে) এই ঘটনায় মুনিয়ার বোন নুসরাতকে জড়িয়ে একটি লেখা প্রকাশ করে। এই লেখায় বলা হচ্ছে, নুসরাতের ৪টি বডিগার্ড রয়েছে। ইনিয়ে বিনিয়ে এরা বলার চেষ্টা করছে যে, নুসরাত লোক পাঠিয়ে তার বোনকে খুন করেছে। হাসলাম কিছুক্ষণ। নুসরাত ৪টা বডি গার্ড এফোর্ড যদি করতেই পারতেন, তাহলে তো আর আনভীরের কাছে যেতে হতো না। তবে গল্পটি আমি একেবারে ফেলে দেয়নি। অপরাধী নিজের অপরাধের গল্প হয়তো নুসরাতকে চরিত্র বানিয়ে লিখেছে। এভাবেই তো অপরাধী তার কৃতকর্মের চিহ্ন রেখে যায়।
যাই হোক, আমি আমার আগের লেখায় বলেছি আমি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ক্রেডিবল বা কংক্রিট এভিডেন্স পেয়েছি, এই মুনিয়ার আত্মহত্যা ঘটনায়। সমস্যা হচ্ছে, এই বিষয়ে লিখতে আমার কিছুটা বাঁধা রয়েছে, এভিডেন্স যিনি দেবেন তার তরফ থেকে। তিনি সময় নিতে চান। তিনি আমাকে ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন, ফলে আমিও নিরুপায়। তবে প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে আমি সেসব এভিডেন্স দেখেছি, নানাবিধ ভিডিও, অডিও শুনেছি এবং বিস্ময়াভূত হয়েছি। এটি হত্যাকাণ্ড নাকি একটি ভালনারেবল মেয়েকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়া নাকি সাধারণ আত্মহত্যা? এ বিষয়ে আমি চুপ থাকবো এখন।
তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার একটা আকুল আবেদন থাকবে। আমি আপনাদের কিছু লিড দিচ্ছিÑ [১] এই মুনিয়া আত্মহত্যা ঘটনায় সাইফা মিম নামে একটি চরিত্র রয়েছে। খুব স্ট্রং চরিত্র, এই নারীকে সর্বোচ্চ স্কিল দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। মুনিয়াকে তিনি কী কী টেক্সট করেছেন, ফোনে কী কী কথা বলেছেন দয়া করে সব বের করুন। [২] আনভীরকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করুন। তার কাছে সাইফা মীম সম্পর্কে জানতে চান। পুরো ঘটনা খুলে বলতে বলুন। তিনি সাইফা মিমকে কী কী টেক্সট করেছেন। আর মুনিয়াকে কী কী টেক্সট করেছে সব বের করে আনুন। [৩] আনভীরের মাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনুন। আমার ধারণা এতেই সব বেরিয়ে আসবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :