বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)কে এম নূরুল হুদা এ বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ওইসব দেশে ভোটার রেজিস্ট্রেশান অটোমেটিক তাই কমিশনের হাতে থাকার প্রয়োজন নেই।
[৩] বুধবার সিইসি বলেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানান্তর করলে ইসির অসুবিধা হবে। এটা টেবিল–চেয়ার নয় যে উঠিয়ে নিয়ে গেল। এটা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে।
[৪] জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যাস্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
[৫] ভারতে জাতীয় পরিচয়পত্রকে বলা হয় আধার কার্ড এটি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণারয় ইস্যু করে। আবার রাজ্য সরকরগুলোও কার্ড দিতে পারে। পাকিস্তানে কার্ডটিকে বলা হয় সিএনআইসি। এটি ইস্যুকরে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারাইজড ডাটাবেইজ নামের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা। আফগানিস্তানে পরিচয় পত্রের নাম তাজকিরা এটি আইন মন্ত্রণালয় ইস্যুকরে। শ্রীলংকায় পরিচয় পত্রের নাম ই নিক। এখন এটিকে স্মার্টকার্ডে পরিবর্তন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এটি ইস্যুকরে। নেপালেও জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুকরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
[৬] এ বিষয়ে সিইসি বলেন, দুই পক্ষেরই যুক্তি আছে। যেসব দেশে সঠিকভাবে জন্মনিবন্ধন হয়। পরে ১৮ বছর হলে অটোমেটিক ভোটার হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে এটা হয় না। নির্বাচনের ভোটার লিস্টকে যথাযথ যাচাইয়ের জন্য নিবন্ধনটা নির্বাচন কমিশনে থাকার প্রয়োজন আছে।
আপনার মতামত লিখুন :