সাখাওয়াত হোসেন:[২] ভুটানে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে সে দেশের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের অন্তর্গত চামুর্চি এলাকার সীমান্ত বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না। বস্তা বস্তা মালপত্র ফেলে দিতে হচ্ছে তাদের। এতে কোটি কোটি টাকা লোকসান হওয়ার দাবি করছে ব্যবসায়ীরা। বুদ্ধিস্টডোর, আনন্দ বাজার পত্রিকা
[৩] তবে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কম হওয়ায় ইতোমধ্যে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে সেখানে। তবে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে প্রায় ১৬ মাস ধরে। ফলে সেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী তাদের পেশা পরিবর্তন করতে চেষ্টা করছে। এছাড়া গাড়িচালকদেরও এর জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তারা যাত্রী পাচ্ছে না।
[৪] চামুর্চি অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, চামুর্চি বাজারকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উচিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা। এখানে প্রায় ১৫০ জন ব্যবসায়ী উপার্জনহীন হয়ে পড়েছে এবং চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
[৫] স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী ইবতেখার আনসারি জানায়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের লকডাউন শিথিল করা হলেও এ সীমান্ত অঞ্চল প্রায় ১৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে এই এলাকার ব্যবসায়ী ও গাড়িচালকরা উপার্জনহীন হয়ে পড়েছে।