মিনহাজুল আবেদীন: [২] সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পর ঢাকার সব হাসপাতালেই রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই হাসপাতালগুলো আবারো রোগী ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
[৩] তথ্য মতে, কোভিড ডেডিকেটেড কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৩০০। এক মাস আগে এখানে ভর্তি ছিলো ১৩০ জন রোগী। সোমবার (২১ জুন) সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৫ জনে। মুগদা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে ৩৮২টি শয্যা; রোগী ভর্তি আছে ১০৫ জন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ৪০৫টি শয্যা আর রোগী ভর্তি আছেন ১০৫ জন। দ্রুত ফুরিয়ে আসছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা শয্যাও।
[৪] মঙ্গলবার ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ৩৩৫ জন ছিলো পরশু বা তার আগের দিন, এখন ৪শ ছাড়িয়ে গেছে। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তাণ্ডব দেখতে পাচ্ছি আমরা। কুষ্টিয়া, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে আমাদের কাছে রোগী আসছে। এখন এটা খুব আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে।
[৫] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছে তাতে আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে। এখন যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে আমার আশঙ্কা মৃত্যুহার ৮২ থেকেও বৃদ্ধি পেতে পারে।
[৬] কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ বলেন, প্রথমে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো আক্রান্ত হয়েছে। তার পরবর্তীতে তাদের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো আক্রান্ত হয়েছে। আর ঢাকার সাথে যেহেতু সব জেলারই যোগাযোগ থাকে তাই ঢাকায় আসাটা শুধু সময়ের ব্যাপার ছিলো। আমার এখানে আড়াই গুনের বেশি রোগী বেড়েছে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান