শিমুল মাহমুদ: [২] রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শনিবার রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে হাসপাতাল থেকে সিলভার রংয়ের গাড়িতে করে বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানের ‘ফিরোজা’ উদ্দেশে রওনা হন। বাসায় প্রবেশ করেন রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে। এরআগে হুইল চেয়ারে করে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসেন। বাইরে অপেক্ষমানদের উদ্দেশ্যে তিনি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় ৭৯ নম্বর সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা এবং কিছু সময়ের জন্য এক পাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
[৩] খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, হাসপাতালে শনিবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেজন্য আজকে ম্যাডামকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন।
[৪] হাসপাতাল সূত্র জানায়, বর্তমানে চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে। কিডনি সমস্যাও কমার দিকে। কিছুদিন আগে জ্বর আসলেও তা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন।
[৫] খালেদার বাসায় ফেরার বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাসপাতালে বেশিদিন থাকার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, ইতোমধ্যে একবার রক্তে সংক্রমণ হয়েছে। দু’টি ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছে চিকিৎসকরা। হাসপাতাল বেশি দিন থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায় তাই বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেহেতু পোস্ট কোভিড কোনো সমস্যা তার নাই এবং বাসাতেই তিনি সংক্রমণের শঙ্কামুক্ত। তাই বাসায় থেকেই সেই চিকিৎসা চলবে বলে মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিয়েছে।
[৬] গত ১১ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৩ মে তার শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ মে তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ফল নেগেটিভ আসে।
[৭] খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা তাকে বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ করেন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিদেশ যাওয়ার অনুমিত চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু