মনিরুল ইসলাম: [২] জাতীয় সংসদে মুলতবী অধিবেশন ৭ দিন বিরতির পর সোমবার (১৪ জুন) সকাল আবার বসবে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনা কাল সোমবার শুরু হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় সংসদের মূলতবি অধিবেশন বসবে।
[৩] গত ৬ ও ৭ জুন বিদায়ী ২০২০- ২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে। সম্পূরক বাজেট পাসের পর ১৪ জুন পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন মুলতবী করা হয়।
[৪] সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের ইতিহাসে সংপ্তিতম বাজেট অধিবেশনে সর্বোচ্চ ২০ ঘন্টা সাধারণ আলোচনা চলতে পারে। করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য সংসদ সদস্যদের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সাধারণ আলোচনা চলবে। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হবে। এরপর পহেলা জুলাই বাজেট অধিবেশন শেষ হতে পারে।
[৫] এদিকে, গত ৩ জুন করোনাকালের দ্বিতীয় বাজেট সংক্ষিপ্ত সময়ে পেশ করা হয়েছে। বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তার সংসদ তৃতীয় টামা বাজেট উপস্থাপন। গত বছর মাত্র পৌনে এক ঘণ্টায় পেশ করা হলেও এবার আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনে সময় লেগেছে দেড় ঘন্টা। অধিবেশনের শুরুতে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে ৫০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ নিশ্চিত করে অধিবেশন পরিচালনা করায় বাজেট পেশকালে অধিবেশনে উৎসবের আমেজ দেখা যায়নি। বরং সর্বত্র ছিলো কঠোর সতর্কতা।
[৬] ৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ স্বল্প সংখ্যক সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বাজেট বাজেট পাসের প্রক্রিয়া ১০ দিন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
[৭] ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের শুরুতেই ১৯৭১ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। সংক্ষিপ্ত পরিসরে উত্থাপিত লিখিত বাজেট বক্তৃতা ছিল ১৯২ পৃষ্ঠার।
[৮] প্রতিবছর বাজেট পেশের দিনটিতে সংসদ ভবন জুড়ে থাকে উৎসবের আমেজ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর থেকে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশে থাকে কড়াকড়ি। সকলকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখিয়ে ভিতরেন প্রবেশ করতে হচ্ছে। আর মূল ভবনে স্বল্প সংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেছেন। সংসদ ভবনের প্রবেশমূখে সকলকেই জীবাণু নাশক স্প্রে করা হয়। সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের তাপমাত্রা মাপা হয়। অধিবেশন কক্ষে এক থেকে দু’টি আসন পর পর তারা বসেছিলেন। অধিকাংশের মুখে মাস্ক, হাতে গ্লোভস ও মাথায় ক্যাপ ছিলো। সংসদ পরিচালনায় দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
[৯] প্রতিবছরই বাজেট উত্থাপনের দিন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকলেও এবার কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
[১০] উল্লেখ্য, গত ২ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। পরদিন ৩ জুন বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :