শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২১, ০৩:৩৯ রাত
আপডেট : ১২ জুন, ২০২১, ০৩:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না এএসআই সালাহ উদ্দিনের

ডেস্ক রিপোর্ট : ‘ইরে-বাবা, কইরে বাবা, বাবা তুই কই। তুই তো বাড়ি আসবি বলেছিলি, লাশ হয়ে ফিরলি কেন? আমি তো তোকে লাশ হয়ে দেখতে চাইনি।’ শুক্রবার (১১ জুন) রাত ৯টার দিকে মুঠোফোনে এভাবে কেঁদে কেঁদে উত্তর দিলেন চট্টগ্রামে নিহত এএসআই কাজী মো. সালাহ উদ্দিনের বাবা কাজী নাদেরুজ্জামান পাটওয়ারী। ছেলের শোকে তার কান্না কেউই থামাতে পারছেন না। কান্না থামানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজনরা। জাগোনিউজ

জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নাদেরুজ্জামান পাটওয়ারী বলেন, গত পরশু আমার সঙ্গে সালাহ উদ্দিনের কথা হয়। আগামী সপ্তাহে বাড়িতে আসবে বলেছিল। কিন্তু আমার সালাহ উদ্দিন লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। তারা আমার সালাহ উদ্দিনকে জীবন্ত বাড়ি ফিরতে দিল না।

নিহত এসআই সালাউদ্দিন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মংনেথোয়াই মারমা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মাদক পরিবহনের খবরে একটি মাইক্রোবাসকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথায় থামার জন্য সালাহ উদ্দিন সঙ্কেত দেয়। কিন্তু মাইক্রোবাসটি না থামিয়ে উল্টো তাকে পিষে দিয়ে চলে যায়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সালাহ উদ্দিন একই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ছিলেন। তার বাবা কাজী নাদেরুজ্জামান অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল।

সালাহ উদ্দিনের মামাতো বোন শাহনাজ আক্তার বিন্দু বলেন, আমার ভাইয়া প্রায় ১৫ বছর পুলিশে চাকরি করেন। তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তিনি বাড়িতে আসলে বিয়ের তারিখ ঠিক করার কথা ছিল। মামার সঙ্গে তার শেষ বুধবার কথা হয়। ভাইয়া আগামী সপ্তাহে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ভাইয়াকে লাশ হয়ে ফিরতে হলো। মামার কান্না থামানো যাচ্ছে না। ভাইয়াকে যারা হত্যা করেছে, আমরা তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়