শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২১, ০৭:২৯ সকাল
আপডেট : ১১ জুন, ২০২১, ০৭:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করেনাকালে বিশ্বে প্রতি ১০ শিশুর এক শিশু মজুরিভিত্তিক কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দুই দশক ধরেই বিশ্বে শিশুশ্রম বাড়তে থাকলেও মহামারিতে এ হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২০ সালে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৬ কোটি অতিক্রম করেছে বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।

হাসিখেলায় জীবনের সবচেয়ে নির্মল বয়সটা পার করার কথা ছিল কর্মরত এসব শিশুদের। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা অকালেই তাদের বানিয়েছে কারিগর। পরিবারের আরও পাঁচটা মুখও অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকে শিশুটির উপার্জনের দিকেই। সারা বিশ্বের কোটি কোটি শিশু শ্রমিকের জীবনের গল্পটা এমনই।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও ও শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত এক দশক ধরে বিশ্বে বেড়েই চলেছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, করোনা মহামারি ও লকডাউনের প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট গত এক বছরে আরও কোটিখানেক শিশুকে ঠেলে দিয়েছে একই দুর্ভাগ্যের দিকে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, শিশুশ্রম বন্ধের লড়াইয়ে আমরা হারতে বসেছি। মহামারি আমাদের অনেক পেছনে ঠেলে দিয়েছে। বৈশ্বিক লকডাউন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, অচল অর্থনীতি ও জাতীয় বাজেট সংকোচনের দ্বিতীয় বছর চলছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক পরিবারকে বাধ্য হয়ে সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ করে কাজে পাঠানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

শিশু শ্রমিকদের অর্ধেকের বেশিরই বয়স পাঁচ থেকে ১১'র মধ্যে। ২০১৬ সাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ৬৫ লাখ থেকে বেড়ে সাত কোটি ৯০ লাখে পৌঁছেছে। কৃষিখাতে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক নিয়োজিত থাকে বলে উল্লেখ করা হয়।

জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে বিশ্বে দারিদ্রপীড়িত পরিবারের সংখ্যা বিপুল হারে বাড়ার আশঙ্কা জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে জোর করে কাজে যাওয়া শিশুর সংখ্যা পাঁচ কোটি বাড়বে। নতুন অনুমানগুলি সচেতন হওয়ার আহ্বান। আমরা এক মুহূর্তের জন্যও নতুন প্রজন্মের শিশুদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না বলেও জানান গাই রাইডার ।

নতুন করে দারিদ্র্যের মুখে পড়া লাখ লাখ পরিবারের সহায়তায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে আইএলও ও ইউনিসেফ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়