ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ হলেই যথেষ্ট। কারণ রপ্তানিশিল্প ছাড়া অন্য সব সেক্টর এখনো গতি পায়নি। এখনো বিভিন্ন এলাকায় কঠোর লকডাউন চলছে। প্রায় সবকিছুতেই অনিশ্চয়তার পরিস্থিতিতে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন হবে।
[৩] তিনি বলেন, দেশে বিপুলসংখ্যক লোক এখন কর্মহীন, বেকার। আয়রোজগার নেই। দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে অনেকেই। ভুল হ্যান্ডেলিংয়ে পড়েছি টিকা সংকটে।
[৪] তার মতে, কর্মহীন ও নিম্নআয়ের মানুষ নয়, প্রস্তাবিত বাজেটে মাঝারি ও বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোই লাভবান হবে। কারণ বাজেটে ক্ষুদ্র ও অনানুষ্ঠানিক খাতে বিশেষ কিছু নেই। ছিটেফোঁটা যা কিছু আছে, তা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে খুব একটা কার্যকর হবে বলে মনে হয় না।
[৫] বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী বাজেটে বাংলাদেশ ৫.১ শতাং প্রবৃদ্ধি করতে পারে। সংস্থার ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, সরকার বলছে প্রবৃদ্ধি বাড়বে, বিশ^ব্যাংকও একই পূর্বাভাস দিচ্ছে। এখানে দুই পক্ষের মধ্যে মিল রয়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি কোনদিকে যাবে, কতোটা হবে- সেটা কখনো এক হয় না, এক হবেও না।
[৬] তিনি বলেন, অন্য বছর শুধু প্রাক্কলনটাই ভিন্ন হতো আসল হিসাব-নিকাশ থেকে। প্রকৃত হিসাব একই থাকতো। কারণ সকলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক বা চূড়ান্ত হিসাবের সংখ্যাগুলোই ব্যবহার করতো।
[৭] পরিসংখ্যান ব্যুরো গত একবছর ধরে কিছুই বলেনি। ফলে সরকার ও বিশ^ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে এই তারতম্য দেখা যাচ্ছে।
[৮] ড. জাহিদ এও বলেন, হিসাবের বেইজডটা আগে সবার এক থাকতো, এ বছর সবার ডিফারেন্ট। যে ভিত্তির ওপর হিসাবটা করছে, তা এক নয়। কাজেই সেখানে নতুন জটিলাতা দেখা দিয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :