রাজু চৌধুরী : [২] রোববার (৬ জুন ) সকাল থেকে বিভিন্ন সার্কেলের সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের সহায়তায় তাদের সরিয়ে নিতে মাইকিং শুরু করেন। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে রোববার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। অতি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধ্বসের শঙ্কা রয়েছে।
[৩] জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, ‘মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, টাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিলস এলাকা, রউফাবাদ, খুলশী, পাহাড়তলি, ফয়েস লেক এবং ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এলাকার পাহাড়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ।’
এ ছাড়া আকবর শাহ এলাকার ঝিল-১, ২, ৩ নম্বর এলাকা, জিয়ানগর, মধ্যমনগর, মুজিব নগর, শান্তিনগর এলাকা, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনী এলাকা, ফিরোজ শাহ এলাকা, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকার পাহাড়গুলোতেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও কাট্টলী সার্কেলে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মাইকিংয়ের পর ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীরা না সরলে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। স্থানীয় মসজিদগুলো থেকেও মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে মসজিদের মুয়াজ্জিনরা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে আহ্বান করছেন। বাকলিয়া সার্কেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সদরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত চৌধুরী, আগ্রাবাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী রোববার সকাল থেকে দূর্গতদের সহায়তা, মাইকিং এবং জনসচেতনতা মূলক প্রচার করেছেন।
[৫] মামনুন আহমেদ অনিক বলেন, ‘মতিঝর্ণা এলাকায় লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহীদনগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত আছে। মতিঝর্ণা এলাকায় এরই মধ্যে প্রায় ৪০টি পরিবারের ২০০ লোক সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
[৬] উল্লেখ্য, পাহাড় ধ্বসের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে ২০০৭ সালের ১১ জুন। মারা যায় ১২৭ জন। পরবর্তীতে শক্তিশালী পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয় তদারকি করতে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ