সাকিবুল আলম: [২] সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া বিদেশী অপসংস্কৃতির প্রভাব দমন করার জন্য একটি সুদূরপ্রসারী নতুন আইন পাশ করেছে। এ আইনের ফলে কোন ব্যক্তি বিদেশী চলচিত্র দেখলে, বিদেশী পোশাক কিংবা বিদেশী ভাষায় গালি দিলে তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিবিসি
[৩] উত্তর কোরিয়া থেকে সিউলে পালিয়ে যাওয়া ইয়ন মি সো নামের একজন নারী বিবিসিকে বলেন, তিনি ১১ বছর বয়সে প্রথম এক ব্যক্তিকে দক্ষিণ কোরীয় নাটক দেখার অপরাধে ফাঁসি দিতে দেখেন। সেই ব্যক্তির প্রতিবেশীদের হত্যাকান্ডের দৃশ্যটি দেখতে বাধ্য করা হয়েছিলো। উত্তর কোরিয়ার আইনে অবৈধ ভিডিও পাচারের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
[৪] এই দীর্ঘ লকডাউনে উত্তর কোরীয় জনগণকে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ বা কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়েছে। শুধুমাত্র ছিলো কিছু সরকার নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল।
[৫] কোন ব্যক্তির কাছে যদি প্রচুর পরিমাণে দক্ষিণ কোরীয়, মার্কিন বা জাপানি ভিডিও পাওয়া যায় তবে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট কিম দেশের যুবকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব মিডিয়াতে একটি চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন তরুণদের মধ্যে অরুচিকর, অহংবাদী এবং অসামাজিক আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
[৬] তিনি বিদেশী কথন, চুলের কাটিং ও পোশাকের ব্যবহার বন্ধ করতে চান। এগুলোকে তিনি বিপজ্জনক বিষ হিসেবে উল্লেখ করেন। সম্পাদনা : রাশিদ