শিমুল মাহমুদ: [২] ভোর থেকেই রাজধানীর আকাশ বেশ গুমোট। সকাল ৮টার পরপরই শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। এরপর কয়েক ঘণ্টা জন্য থেমে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফের মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ। ভারী এ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় রাজধানী জুড়ে।
[৩] গাবতলী, কল্যানপুর, দারুস সালাম, আসাদগেট, ধানমন্ডি ২৭, মিরপুর ১-২ ও সনি সিনামা হলের সামনে, এ্যালিফেন্ট রোড, মৎস ভবনের সামনে, ফকিরাপুল, নটরডেম কলেজের সামনে, শান্তিনগর, বাড্ডা, রামপুরা, উত্তরা, মগবাজার, মতিঝিল ছাড়াও নগরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে বাইরে থাকা কর্মমুখী মানুষজন।
[৪] আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকায় ৫৫ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। বর্ষাকালে দেশের আকাশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু অবস্থান করে, যার প্রভাবে হয় বৃষ্টি। আগামী সোমবার এই বায়ু দেশের আকাশে প্রবেশ করবে, এ কারণে বাড়বে বৃষ্টি। যদিও বর্ষার ঝুম বৃষ্টি পেতে অপেক্ষা করতে হবে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
[৫] দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বর্তমানে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূলে অবস্থান করছে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে তা বাংলাদেশের টেকনাফ উপকূলে আসতে পারে। ৭ জুনের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকবে দেশের দক্ষিণাংশে।
[৬] মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি প্রথম বাড়বে দক্ষিণাংশে বরিশাল, খুলনা এবং চট্টগ্রামে। পাশাপাশি একই সময়ে বাড়বে ময়মনসিংহ ও সিলেটেও। এরপর সেই বায়ু দেশের মাঝামাঝি চলে আসতে পারে, যা ধীরে ধীরে দেশের উত্তর দিক দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :