হ্যাপি আক্তার: [২] জৈষ্ঠ্যের কড়া দাবদহে দই স্বাস্থ্যের জন্য একেবারে যথাযথ। এই সময় ডায়েটিশিয়ানরা বেশি করে দই খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন। হজম ক্ষমতাকে দ্রুত বাড়িয়ে দেয় দই। দইতে থাকা ল্যাকটোজ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-টু, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারী। পেটের জন্যও খুবই ভালো দই কিন্তু দইয়ের স্বাদের তারতম্য আনতে অনেক সময়ই আমরা দইয়ের সঙ্গে বেশ কিছু জিনিস মিশিয়ে খেতে পছন্দ করি। কিন্তু কোনো জিনিস খাবেন আর কোনটা নয়। তা জানা অতি প্রয়োজনীয়। একে অপরের সঙ্গে মিশে কোনো বিপদ ডেকে আনতে পারে, তাই সে বিষয়ে জানা অতি প্রয়োজন। জি নিউজ২৪
[৩] রায়তা: রায়তা বানানোর সময় দইয়ের সঙ্গে ভুলেও পেঁয়াজ দেবেন না। অন্যদিকে দই ফুচকা খাওয়া বা বিভিন্ন রান্নায় আমরা দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজের ঘণ্ট তৈরি করে থাকি। কিন্তু এই মিশ্রণে অ্যালার্জি, ত্বকের সমস্যা, অ্যাস্থমার মতো মারাত্মক অসুখ হতে পারে। অ্যাস্থমা একটি দীর্ঘকালীন অসুখ যাতে কাশি, শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়।
[৪] মাছে দই: মাছের সঙ্গে দই খাওয়ার প্রবণতা বাঙালিদের মধ্যে রয়েছে। স্বাদে ভরা বাঙালি গরম ভাতে মাছের কালিয়া, কোফতা, দই চিংড়ি বা ইলিশ খেতে খুবই পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দই ও মাছ- উভয়েই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন। তাই দুটি এক সঙ্গে খাওয়ার ফলে হজমতন্ত্রে সমস্যা, পেটে ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
[৫] দই ও দুধ: দই খান, দই ও দুধ দুটি কখনই একসঙ্গে নয় খাবেন না। কারণ, দুটি প্রাণী থেকে সংগৃহীত প্রোটিন একসঙ্গে খাওয়ার ফলে ডায়েরিয়া, অ্যাসিডিটি, বমিভাব, পেট ফুলে ওঠা ও গ্যাসের প্রবণতা বাড়তে থাকে। গ্যাসের থেকে বুক পেট পিঠে ব্যথা হতে পারে।
[৬] উড়াদ ডাল ও দই কখনই একসঙ্গে খাবেন না। দুটোই প্রোটিন। আপনার হজমতন্ত্রকে ব্যহত করতে সময় নেবে মাত্র কয়েক মিনিট। বদহজম, ডায়েরিয়া, পেট ফেঁপে থাকবে বহুক্ষণ।
[৭] ভাজা খাদ্য ও দই: অনেকেই পরোটার সঙ্গে দই আঁচার খতে পছন্দ করেন কিন্তু জানেন কি তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে দই খেলে হজমশক্তি কমে যায়! পাশাপাশি শরীরে অদ্ভুতভাবে ক্লান্তি ঘিরে ধরবে। বমি বমি ভাব আসতে পারে।