আখিরুজ্জামান সোহান: [২] ল্যানসেট সাময়িকীর একটি প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, করোনার ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার কার্যকারিতা একেবারেই কম। এনডিটিভি
[৩] ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাইজারের টিকা করোনার মূল ধরনের বিরুদ্ধে যে মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে তা মাত্র পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
[৪] গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম ডোজ ফাইজারের টিকা গ্রহণের পর, মূল ধরনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মধ্যে প্রায় ৭৯ শতাংশের শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরী হয়, কিন্তু আলফা বা বি ১.১.৭ ভেনিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ৫০ শতাংশ।
[৫] আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ভারতে শনাক্ত ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে ফাইজারের টিকার কার্যকরের হার মাত্র ৩২ শতাংশ এবং সদ্য আবিস্কৃত দক্ষিন আফ্রিকার স্ট্রেইন বেটা বা বি ১.৩৫১ এর ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ২৫ শতাংশ।
[৬] ইউসিএলএইচ সংক্রামক রোগের পরামর্শদাতা এবং সিনিয়র ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ফেলো ইমা ওয়াল বলেছেন, এই গবেষণার পর আমাদের পরবর্তী করনীয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রথম ডোজ প্রাপ্তদের দ্বিতীয় ডোজ সরবরাহ করা পাশাপাশি নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে টিকার সাথে বাড়তি বুস্টার ডোজ প্রদান প্রয়োজন।
[৭] তবে গবেষকরা বলছেন, কেবল অ্যান্টিবডি তৈরির মাত্রাই টিকার কার্যকারিতা নির্ধারণের একমাত্র নিয়ামক নয়। এক্ষেত্রে আরও গবেষণা তাগিদ তাদের।
আপনার মতামত লিখুন :