সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আরও বলেন, টেলিভিশন ক্যামেরা আছে, চেহারা দেখাই গেলেন পরে টেলিভিশনে দেখাইল, আপনারা বিশাল নেতার পরিচিত পাবেন। তাতে আওয়ামী লীগ সামনে আগাবে না। আওয়ামী লীগের যে কোন সহযোগী সংগঠনেরও যদি ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন হয়। কত জাঁকজমকভাবে সম্মেলন হয়। আর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে সম্মেলন ছাড়া শুধু সিভি দেখে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
[৩] প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রভিত্তিক এলাকা ধরে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট ইউনিট কমিটি গঠন করার নির্দেশনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এলাকার মধ্যে বসবাসরত কেন্দ্রীয় নেতা, মহানগরের নেতা, থানার নেতা, ওয়ার্ডের নেতা সবাই সদস্য পদ নবায়ন করবেন। কমপক্ষে ১০০জন নতুন প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। সমাজের গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজে ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিত, যাদের আওয়ামী লীগের জন্য হৃদয় কান্দে কিন্তু পদ-পদবিতে নেই। এই ধরনের মানুষ খুঁজে খুঁজে বের করে বাড়িতে গিয়ে তাকে সদস্য করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।
[৪] মহানগর নেতাদের উদ্দেশে মির্জা আজম বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ মর্যাদা সম্পূর্ণ। কিন্তু ভাড়াটিয়া, অফিস নিয়া প্রোগ্রাম করছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বিত্তশালী মানুষরা বসবাস করেন ঢাকা মহানগরে। আর গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুবাদে কমবেশি সবারই অর্থনৈতিক, সামাজিক মর্যাদার দিক দিয়ে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আপনাদের একটা বসার জায়গা নেই, এটি অত্যন্ত লজ্জাকর।
[৫] শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম প্রদান ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।