শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২১, ০৪:২৬ সকাল
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২১, ০৪:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাকির তালুকদার: লেখালেখি এবং ছাত্ররাজনীতির ব্যাকগ্রাউন্ড

জাকির তালুকদার: ছাত্ররাজনীতি, বিশেষ করে, বাম ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে লেখালেখির কি কোনো সম্পর্ক আছে? লেখক-কবি হয়ে উঠাতে প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির এই ব্যাকগ্রাউন্ড কি কোনো ভূমিকা পালন করে? কোনো সম্পর্কসূত্র আবিষ্কার করা যায়নি। তবে উদাহরণ এটিকে অনেকখানিই সমর্থন করে। আমার এই অভিজ্ঞতা পুরোপুরি রাজশাহী কেন্দ্রিক। মামুন হুসাইন হইচই ভিড় হট্টগোল থেকে দূরে থাকা মানুষ। এমনকি তার সাহিত্যিক আড্ডাগুলোও ছিলো খুবই সংক্ষিপ্ত। কিন্তু মামুন ভাই ছাত্র রাজনীতি করতেন। করতেন ছাত্র মৈত্রী। ইমতিয়ার শামিম বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।  ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে রাকসুতে সাহিত্য সম্পাদকও হয়েছিলেন।

আনজীর লিটন করতেন জাতীয় ছাত্রলীগ (বাকশাল)। দীপু মাহমুদ ছাত্র ইউনিয়ন থেকে রাকসুর নির্বাচনে জিতেছিলেন। ক্যাম্পাসে তিনি লেখকের চাইতে নাট্যকর্মী হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। শামীমুল হক শামীম ছিলেন ছাত্র সমিতির (ন্যাপ মোজফফর) নেতা। আযাদ কালাম জাসদ ছাত্রলীগ। আদীল জাসদ ছাত্রলীগ। চঞ্চল শাহরিয়ার সেভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে বামমুখী। সাঈদ কাজল, রতন সিদ্দিকী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। আমিনুর রহমান সুলতানও। নয়ন হাফিজ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত। কবি মোহাম্মদ কামাল ছাত্র মৈত্রীর সঙ্গে ছিলেন। আরিফুল হক কুমার আরেকটু বেশি বাম। কৈশোরেই ঘটনাক্রমে গোপন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তারিক-উল-ইসলাম কোনো ছাত্র সংগঠনে নাম লেখাননি বোধহয়। তবে প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে সমমনা ছিলেন। নিশাত জাহান রানা প্রগতিশীল আবৃত্তি সংগঠন স্বনন-এর কর্ণধার ছিলেন। ফয়জুল ইসলাম সুমন সেই স্বননেই।

আমাদের প্রিয় আহসান হাবিব নবু ভাই ছিলেন জাতীয় ছাত্রলীগ (বাকশাল) এর মেডিকেল কলেজ কমিটির সভাপতি। নাজিব ওয়দুুদও জাতীয় ছাত্রলীগ করতেন। পরবর্তী সময়ে কীভাবে যেন ঝুঁকে পড়েন জামায়াতের রাজনীতির দিকে। আবার প্রত্যাবর্তন। মেডিকেল কলেজের চিন্ময় দাস ছাত্র মৈত্রীর দাপুটে কর্মী ছিলেন। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকাল নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য। সমকাল এবং অনুশীলন দুটোই ছিলো প্রগতিশীল নাট্য সংগঠন। মাসুম রেজা অনুশীলনের কেন্দ্রব্যক্তিত্ব ছিলেন। গিয়াসউদ্দীন সেলিমও অনুশীলনে। পরে দল ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার গড়েছিলেন। রাজশাহী শহরে হাসনাত আমজাদ একসময়ে ছাত্র মৈত্রী করতেন। পরে কোনো রাজনৈতিক চিন্তা বা কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা যায়নি। শহরে সকল সাহিত্যকর্মের কেন্দ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন রুহুল আমীন প্রামাণিক। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন।

পরবর্তী সময়ে সরকারি চাকরি করার সময়েও একই ধারায় কাজ করে গেছেন। এখন সুফিতাত্ত্বিক। শিশুসাহিত্যিক আশরাফুল আলম পিন্টু রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন। সিরাজুদ্দৌলাহ বাহারও। তবে মাহবুবুর রহমান বাদশাহ ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। রাজশাহীতে ওই সময় হাসিনা ছাত্রলীগ ছিলো খুবই ছোট সংগঠন। তাদের ভেতর থেকে কোনো লেখক বা কবি বেরিয়ে আসেনি। বিশাল সংগঠন ছিলো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের। কিন্তু সেই সংগঠন থেকেও কোনো উল্লেখযোগ্য লেখক-কবি উঠে এসেছেন, এমনটি জানা যায় না। ছাত্র শিবিরের কেউ কেউ মগবাজারকেন্দ্রিক জামায়াতের সাহিত্য পল্লীর সদস্য ছিলেন হয়তো। কিন্তু তাদের নাম মূলধারার সাহিত্যে আসেনি। কোনো পর্যালোচনা নয়। আমার তারুণ্য-যৌবনের রাজশাহী-জীবনের সাহিত্য জগতের কথা ভাবতে গিয়েই নামগুলো উঠে আসা। লেখক : কথাসাহিত্যিক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়