শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০২১, ০১:০৬ দুপুর
আপডেট : ৩১ মে, ২০২১, ০১:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধিতে বাজেট বরাদ্দ দরকার: ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

আমিরুল ইসলাম : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, করোনা মহামরারীর এই সময়ে বিশ^ এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছিÑ কোভিডোত্তর পৃথিবীতে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাখাতকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বোঝে এই দুটো খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। মূলত শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হবে, সেখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, আমরা অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বীমা করি, তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ভাতা দিই। কিন্তু আমাদের বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের দেখাশোনা কে করবে। কোভিডোত্তর পৃথিবীতে এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে স্বাস্থ্যই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। স্বাস্থ্যসম্পদকে ধরে রাখতে না পারলে লেখাপড়া ও সার্টিফিকেটের কোনো গুরুত্ব নেই।

শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ হবে সেখানে স্বাস্থ্যটাকে গুরুত্ব দিয়েই যেন দেওয়া হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থীকে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে যেন আনা যায়। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যে সমস্ত সুবিধাদী দেওয়া প্রয়োজন সেগুলো যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিতে পারে। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে চিকিৎসক আছে তারা যেন তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারে, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকেরা কঠিন সময় পার করছেন। বহু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাকরি নেই, বেতন নেই। এই শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা ও সাহায্য সহযোগিতার বিষয়টি বাজেটে আসতে হবে। বাজেটে প্রাতিষ্ঠানিক বরাদ্দ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার দরকার আছে।

শিক্ষাখাতকে কোভিডোত্তর পৃথিবীতে খাপ খাওয়ানোর জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার সেটা বের করতে হবে। সেখানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা আমরা করছি, এটা চালুও আছে ঠিক। কিন্তু একইসঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে প্রবেশ করা এবং অনলাইন সুযোগ-সুবধিার অভাব আছে। অনেক শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট প্যাকেজ ও সংযোগ থাকে না। সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সে কারণে এই খাতেও বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন আছে।

কোভিড পরিস্থিতি আরও কিছুদিন প্রলম্বিত হলে এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালু রাখতে গেলে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাপোর্ট দিতে হবেই। তা না হলে শিক্ষাকার্যক্রম চালু থাকবে কীভাবে। সম্পাদনা : রেজা

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়