নিউজ ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। গত কয়েক মাস ধরে করোনার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১১ শতাংশের ওপরে থাকছে। আর শনাক্তের সংখ্যা দৈনিক হাজারের ওপরে। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। সময়টিভি, যুগান্তর
রোববার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, দেশে নতুন নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হচ্ছে। দেশে এ যাবৎ ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে।
তবে এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন কোনো বিষয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারব। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।
ডা. তাহমিনা বলেন, এটা আমের মৌসুম। আম পঁচনশীলও। অনেক পরিবার আমের বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই মৌসুমে আম কেনা-বেচা করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগান থেকে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারজাত করার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে খোলা জায়গায় বিক্রি করতে হবে। অনলাইন শপিংয়ে মাধ্যমে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩৪ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫৮৩ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩০ জন।