ড. শোয়েব সাঈদ: ভারত ভ্যারিয়েন্ট, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, সীমান্তবর্তী ৩৫ জেলা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে বাংলাদেশে সংক্রমণের অবস্থাটি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা সবসময়ই সহজে বুঝতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ঢেউটি এপ্রিলের শেষের দিকে নীচে নেমে আসে, যার সঙ্গে ভারত তো বটেই- এমনকি নেপাল, শ্রীলঙ্কার ট্রেন্ডের সঙ্গে ভিন্নতা ছিলো। ঈদের সময়ে হঠাৎ নিম্নমুখিতা বোধগম্য। তারপর বাড়বে এটিই স্বাভাবিক এবং এই বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। গ্রাফ বলছে, বৃদ্ধিটা কমছেনা, থেমে আছে। আবার বাড়ছেও না। ফলে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি গ্রাফে প্রতিফলিত হচ্ছে না।
পত্রিকা বলছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। এর অর্থ কী সীমান্তবর্তী এলাকার জেলাগুলোতে পরীক্ষা এতোই কম হচ্ছে, যার ফলে ওয়ার্ল্ডমিটার গ্রাফে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না? সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্যে সঠিক তথ্য জরুরি। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকিটা প্রথম সুযোগে প্রতিহত করাটার বিকল্প নেই। সংক্রমণের প্রবল চাপে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে গেলে নানা উপদ্রব হাজির হয়, ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তার উদাহরণ। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত টেস্টের সক্ষমতাও জরুরি। লেখক : অনুজীবন বিজ্ঞানী