রাশিদুল ইসলাম : [২] ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ হোসেইন বাকেরি শনিবার আসাদকে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, সিরিয়ার পুনর্গঠন এবং সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য খাতে দুর্দশা কাটিয়ে উঠতেও দামেস্কের পাশে থাকবে তেহরান। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ‘কৌশলগত ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। স্পুটনিক
[৩] ২০১১ সালে সিরিয়ায় রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হবার পর অধিকাংশ এলাকা প্রেসিডেন্ট বাশারের দখলে থাকলেও দেশটির উত্তরাঞ্চলে এখনো বিদ্রোহীদের উপস্থিতি রয়েছে। ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে এসব বিদ্রোহীদের নির্মূলে ইরান সহযোগিতা দেবে।
[৪] তবে সিরিয়ায় সরকার বিরোধী বিদ্রোহীদের কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ও তাদের আরব মিত্র দেশগুলো অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। তারা সিরিয়ার উত্তর প্রদেশ ইদলিব এখনো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এদের বিরুদ্ধে বাশার সরকারকে রাশিয়া সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
[৫] সিরিয়া সরকার দেশটিতে আইএস জঙ্গি ও বিদ্রোহীদের ইসরায়েল সহায়তা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েল সিরিয়ায় অব্যাহতভাবে কুয়েনেইত্রা, লাটকিয়া ও হামায় বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে।
[৬] ইসরায়েলের সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোচাভি বলেছেন তারা সিরিয়ায় ইরানের সামরিক অবস্থানের ওপর গত বছর অন্তত ৫’শ হামলা চালিয়েছে। তবে ইরান বলছে সিরিয়ায় তাদের কোনো সেনা নেই বরং সিরিয়া সরকারের অনুরোধে তারা সহযোগিতা দিচ্ছে।