ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রামের খুলশী থানার ১ নং রোডে স্ত্রীকে ইস্ত্রি ও লোহার পাইপ গরম করে শরীরে ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগে স্বামী মুজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীকে নির্যাতনের সময় বিনা চিকিৎসায় বাসায় আটকে রাখত স্বামী।
শনিবার (২৯ মে) রাত পৌনে দশটার দিকে খুলশী ১ নং গলির তামান্না ভবন থেকে ভিকটিম আয়েশা আক্তারকে (২১) উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া। তিনি বলেন, ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চমেক হাসপাতালের ২৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আয়েশা আক্তারকে শারীরিকভাবে প্রচণ্ড নির্যাতন করে প্রায় দুই মাস বিনা চিকিৎসায় গৃহবন্দী করে রাখে স্বামী মুজিবর। যৌতুক ও পারিবারিক কলহ থেকে আয়েশাকে নির্যাতন করত মুজিবুর।
তিনি বলেন, আয়েশার পরিবার খুবই গরিব। আয়েশার প্রথম বিয়ে হলেও মুজিবুরের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। মুজিবর পেশায় একজন কন্ট্রাক্টর।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আয়েশার সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। মুজিবর আয়েশাকে ইস্ত্রি গরম করে শরীরে লাগিয়ে দিত। লোহার পাইপও গরম করে শরীরে লাগিয়ে দিত। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল মুজিবুর। এছাড়া মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে ফেলেছে। এতে আয়েশার শরীরে বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে। মাংস পচে শরীর থেকে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, পরিবারের অভিযোগ পেয়ে শনিবার বিকেলে খুলশী থানার ১ নং রোড়ের সি ব্লকে তামান্না ভবনের ৯ম তলায় অভিযান চালায় পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ভিকটিম আয়েশাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই স্বামী মুজিবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আয়েশার বাবা নেছার উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সূত্র- ঢাকা পোস্ট