শিরোনাম
◈ সমমনাদের অসন্তোষ বাড়ছে, আসন বণ্টনে বিএনপি-র কঠিন সমীকরণ ◈ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলেও বাড়ছে দারিদ্র্য—সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা ◈ ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: ১২ গ্রুপে ৪৮ দল, একনজরে দেখুন কে কার প্রতিপক্ষ ◈ অবশেষে ‘শান্তি’ পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ ◈ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব ◈ লা‌তিন - বাংলা সুপার কা‌পে ব্রাজিলের কাছে পরা‌জিত বাংলাদেশ ◈ ব্রিটেনে অবৈধ ডেলিভারি ড্রাইভার অভিযানে ৬০ জনকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশিও রয়েছেন আটক তালিকায় ◈ শেখ হাসিনার দুঃশাসনে খালেদা জিয়ার ওপর নেমেছিল নিপীড়নের ঝড়: তারেক রহমান ◈ মনোনয়ন পেলেন বিএনপির ১১ নারী প্রার্থী, কে কোন আসনে?

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২১, ০১:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৯ মে, ২০২১, ০১:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যবসায়ী মনোভাব না থাকলে শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্র থেকে পাততাড়ি গুটাতেই হয়

ইমরুল শাহেদ: চলচ্চিত্রশিল্পের বর্তমান সংকটে সবচেয়ে বেশী আলোচনায় আসছে ব্যবসায়ী মনোভাবের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি। পরিচালক ফিরোজ হাসান কথা প্রসঙ্গে বলেন, এখন আমাদের দেশে আলমগীর পিকচার্স, যমুনা ফিল্মস কর্পোরেশন, এসএস প্রোডাকশন, জ্যাম্বস কথাচিত্রসহ এ শ্রেণীর কোনো প্রোডাকশন হাউজ নেই। এখন যারা প্রোডাকশন করতে আসেন, তাদের বেশির ভাগই আসেন কালো টাকা সাদা করতে বা শখের বশে। কেউ কেউ আসেন লগ্নীকৃত অর্থ আদৌ ফেরত পাবেন কিনা এমন একটা দোটানা মনোভাব নিয়ে। তবে গø্যামারের একটা আকর্ষণতো আছেই। কিন্তু লোভ-মোহের উর্ধ্বে স্বাধীনতা উত্তর ব্যবসা করতে দেখা গেছে স্টার ফিল্মস কর্পোরেশনকে।

স্বাধীনতার আগে এই প্রতিষ্ঠানটি বলতে গেলে দেশপ্রেমের মানসিকতা নিয়েই চলচ্চিত্র ব্যবসা করেছে। ঢাকা মহানগরে তাদের বেশ কয়েকটি সিনেমা হলও ছিল। এখন আর সেই প্রতিষ্ঠানটি নেই। আশির দশকে দেখা গেল চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিল মাসুদ কথাচিত্র। শিল্পী-কুশলীদের প্রশংসায় উদ্ভাসিত হওয়া মাসুদ কথাচিত্র এক সময় চলচ্চিত্রের অভিভাবক সাজার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। মাসুদ কথাচিত্রের কর্ণধার ছিলেন মূলত একজন কাঁটা তারের ব্যবসায়ী। এর পরেই নাম করতে হয় হাসনাবাদ চলচ্চিত্রের কথা। কর্ণধার মুজিবুর রহমান দুই হাতে অর্থ ব্যয় করেছেন।

নিজের ছেলেকে নায়ক করেছেন এবং ফিল্মে বিয়েও করান। শেষ পর্যন্ত সে বিয়ে টিকেনি। এবার দৃশ্যপটে এলেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সন্ধানী কথাচিত্র নিয়ে চাউলের ব্যবসায়ী গোলাম মোর্শেদ। তিনি ছবি প্রযোজনার পাশাপাশি নায়িকা হতে আসা একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। সে ঘরে একটি মেয়ে হয়। নায়িকা হতে আসা সেই মেয়েটি পরে একটি ছবিতে নায়িকা হলেও শেষ পর্যন্ত ছবিটি শেষ হয়নি। মেয়েটি এর মধ্যেই আরেকটি বিয়ে করে এখন প্রবাসে রয়েছেন।

এনএস ইন্টারন্যাশনাল নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসেন নাজিমউদ্দিন চেয়ারম্যান। তিনি সকলের তোষামোদ দেখে নিজেই সব জান্তা হয়ে যান। তার শেষ উদ্যোগ ছিল গীতিকার হওয়ার। তিনি কাকরাইল এলাকায় একটি ষ্টুডিও করেন। কিন্তু নানা চাটুকারিতা শেষ পর্যন্ত তার সর্বনাশ ডেকে আনে। জাজ মাল্টিমিডিয়া দু’চারটি হিট ছবি দেওয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল হওয়ার সুযোগ নিয়ে গোটা চলচ্চিত্রশিল্পকে গ্রাস করার চেষ্টা করে। তার পরিণতিও এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে ভোগ করতে হয়। শাপলা মিডিয়ার ভূমিকা বর্তমানে বিদ্যমান। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলা একটু তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়