অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: আমাদের প্রায় সকল সরকারই অর্ধেক জনসংখ্যার সরকার (regardless of who is in power)। যখন যেই সরকার ক্ষমতায় সেই সরকারের দল করা মানুষরাই সকল সুবিধা ভোগ করে। বাকি অর্ধেক জনসংখ্যাকে এমনভাবে treat করা হয় যেন শত্রু। একটি দেশ কিভাবে তার অর্ধেক পটেনশিয়াল নিয়ে উন্নতি করবে?
যখন দেশে এমনিতেই যোগ্য শিক্ষকের বড় অভাব তখন শিক্ষক নিযোগটাও অর্ধেকের কম পটেনশিয়াল নিয়ে চলছে। এখন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যখন যেই সরকার ক্ষমতায় সেই সরকার তাদের দলীয় ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে দলকানা শিক্ষক নিয়োগ দেয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও কানা, খোঁড়া, ল্যাংড়া, লুলা হয়ে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে এই দলান্ধতা ততই বাড়ছে। কিছু শিক্ষককে জানি। যারা সরকারি দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে নানা দিক থেকে তরতর করে উন্নতি হচ্ছে। প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের সদস্যসহ অসংখ্য কমিটির সদস্য। আর পদ পদবি পাওয়াতো আছেই। এতই ক্ষমতাবান হয়ে উঠে কেবল তাদের সাথে থিসিস যারা করে তারাই শিক্ষক হচ্ছে। ছাত্ররাও এখন গবেষণার ক্ষেত্রে পছন্দের গবেষণার বিষয় না দেখে কার সাথে থিসিস করলে শিক্ষক বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারবে তার সাথেই থিসিস করে। এর ফলে ছাত্রদের মানসিকতা কুলষিত হয়ে যাচ্ছে। এইটা একটা vicious cycle!
শিক্ষকরা গবেষণার বদলে দল করলে লাভের কোন সীমা নাই। তাহলে কোন বলদে গবেষণা করবে। এই দেশে আপনি যত বড় গবেষক তত বড় আহম্মক।
লেখক: শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।