লিহান লিমা: [২] গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সংঘর্ষের দুই সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক মতামতের ওপর কড়াকড়ি সেন্সরশীপ আরোপ করতে দেখা গিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ফিলিস্তিনের সংঘর্ষপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে শেয়ার করা তথ্যমূলক পোস্ট কোনো ধরণের ব্যাখ্যা ব্যতীতই সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অনেক অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্ট্রাগ্রাম। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
[৩] দ্য আরব সেন্টার ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব সোশ্যাল মিডিয়া-সেভেনআমলেহ গত ৬’ মে থেকে ১৮’ মে পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের ডিজিটাল অধিকার লঙ্ঘনের ৫’শটি নথি সংগ্রহ করেছে। এই অধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের অ্যাকাউন্ট মুছে দেয়া বা ফিলিস্তিন সংক্রান্ত পোস্টে বিধি-নিষেধ বসানো ও ফিলিস্তিন অঞ্চলের ওপর ভৌগোলিক নিষেধাজ্ঞারোপ।
[৫]সংস্থাটি জানায়, ব্যবহারকারীদের কোনো ধরণের পূর্ব সতর্কতা না জানিয়ে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পোস্ট মুছে দিয়েছে ইনস্ট্রাগ্রাম। ইনস্ট্রাগ্রাম আল আকসা মসজিদ হ্যাশট্যাগ জনিত সব পোস্ট ব্লক করে, সংস্থাটির মডারেশন সিস্টেম এই ভবনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ট্যাগ দেয়। পরে এক বিবৃতিতে ফেসবুক জানায়, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে সাময়িকভাবে আল আকসা হ্যাশট্যাগজনিত পোস্টগুলো সাময়িকভাবে ব্লক হয়ে গিয়েছিলো।
[৬]ফেসবুক ও টুইটার ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্টও ব্লক করে। পরে টুইটার এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা কিছু অ্যাকাউন্টকে ভূলভাবে স্প্যাম ফিল্টার হিসেবে শনাক্ত করেছিলো। ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাকাউন্টগুলো পরে ঠিক করা হয়েছে।
[৭] দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে ইসরায়েলের সরকার ফেসবুকের তেলআবিবের অফিসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করে, যার মানে ইসরায়েল যাকে সহিংস বলে আখ্যা দেবে সেই নীতি অনুসরণ করবে মাধ্যমটি। ২০১৭ সালে দ্য গার্ডিয়ানের এক নথিতে উঠে আসে, ফেসবুক অভ্যন্তরীণভাবে জায়ানিস্ট মুভমেন্টকে সমর্থন করার নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ‘জায়ানিস্ট’ শব্দটিকে সুরক্ষা দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় অর্থাৎ জায়ানিজম এর সমালোচনা করার জন্য ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত করা হবে।