শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২১, ০৬:২২ বিকাল
আপডেট : ২৭ মে, ২০২১, ০৬:২২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনায় ৭৫ শতাংশ অতি দরিদ্ররা সামাজিক সহায়তা পাননি, অপেক্ষাকৃত সচ্ছল মানুষ পেয়েছেন বেশি: গবেষণা প্রতিবেদন

সমীরণ রায়: [২] বৃহস্পতিবার সিপিডি, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও সংলাপের আয়োজন করে। করোনা মোকাবেলায় ত্রাণ কর্মসূচি: কতটা কার্যকর ছিল ?’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

[৩] অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। সংলাপটি পরিচালনা করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য।

[৪] তিনটি সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-খাদ্য সাহায্য, খাদ্য সাহায্যের জন্য প্রণোদনা ও ২৫০০ টাকা করে ৫০ লাখ দরিদ্র মানুষকে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তা। গবেষণায় মোট দুই হাজার ৬০০ খানাকে বিবেচনা করা হয়েছে। চলতি বছরে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের দেওয়া সামাজিক কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে এই জরিপের কাজ করা হয়।

[৫] ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের দেওয়া সামাজিক কর্মসূচির আওতায় আসা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে জরিপকালে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষ, যাদের টার্গেট করার দরকার ছিল, তারা পুরোপুরি এর আওতায় আসেনি। সবচেয়ে কম আয়ের মানুষদের মধ্যে ২৫ শতাংশকে সামাজিক কর্মসূচির আওতায় আনা গেছে। বাকি যারা এই সুবিধা পেয়েছেন, তারা সবচেয়ে কম আয়ের মানুষ নন। এমনও দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত ধনী মানুষও ওই তিন সুবিধা নিয়েছেন।

[৬] গবেষণা জরিপে আরও দেখা গেছে, গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহর অঞ্চলে ওই প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন অপেক্ষাকৃত ভালো হয়েছে। সবচেয়ে কম আয়ের মানুষ বিবেচনায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ১৮.৯ শতাংশ সরকারের দেওয়া ওই সুবিধা পেয়েছেন, যেখানে শহর অঞ্চলে সুবিধা পাওয়া মানুষদের সংখ্যা ৪৩.৩০ শতাংশ। প্রযুক্তি জ্ঞান ও প্রযুক্তি সুবিধা না থাকার কারণে সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তার ১৭ শতাংশ অনেককে ঘুষ বা অন্যান্য খরচ হিসেবে ব্যয় করতে হয়েছে।

[৭] সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী সংলাপে যুক্ত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়