লিহান লিমা: [২] মঙ্গলবার নিক্কি এশিয়ান রিভিউ জানায়, জান্তা সরকার ১ হাজার ২’শটি অনলাইন সার্ভিস ও ডোমেইনকে সাদা তালিকাভূক্ত করে এর নাম ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোকে প্রেরণ করেছে। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ফেসবুক ও টুইটার। ইয়াঙ্গুনের ২০ বছরের এক তরুণ বলেন, ‘জান্তা সরকার চায় না তরুণরা রাজনীতিতে জড়াক।’ নিক্কি এশিয়ান রিভিউ
[৩] গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর সমালোচনা বন্ধ ও ভিন্নমত ও রুদ্ধ করতে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করাসহ অনলাইন সাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে মিয়ানমার জান্তা সরকার। যার ফলে ব্যবসায়িক খাত ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১০টি বৈদেশিক চেম্বার অব কমার্সের যৌথ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মিয়ানমারের এক তৃতীয়াংশ কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম ৭৫ভাগ হ্রাস পেয়েছে।
[৪] সাদা তালিকাভূক্ত সাইটগুলোর নাম দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে বলা হয়েছে ‘শিক্ষা, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়িক খাতকে পুনসম্পৃক্ত করতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই সাইটগুলো খুলে দিতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।’
[৫]অনুমোদনকৃত ১২’শ সাইটের মধ্যে রয়েছে ৭৫০টি সার্ভিস ও ৪৫০টি ডোমেইন। গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা যোগাযোগ ও বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার করায় এ সাইটগুলোকে এখনো কালো তালিকায় রাখা হয়েছে।
[৬]ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের ৫০টি কোম্পানিকে কালো তালিকা থেকে মুক্ত করা হয়েছে, এছাড়া রয়েছে গ্যাব ও ফুডপান্ডার মতো ২০’টিরও বেশি ডেলিভারি কোম্পানি। ‘বেশিরভাগ ক্রেতা ব্যবসায়িক কাজের জন্য সামাজিক মাধ্যম’ হিসেবে হোয়াটস অ্যাপ, লিংক ইন, ভাইবার ও জুম ব্যবহার করায় এগুলোকে অনুমোদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
[৭]অনুমোদন পেয়েছে ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স ও টিন্ডারসহ ৬০টি এন্টারটেইনমেন্ট সাইট। এন্টারটেইনমেন্ট ক্যাটাগরিতে অনুমোদন মিলেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনএন ও ব্যারনসের। তবে এই তালিকায় নেই নিক্কি এশিয়ান রিভিউ। রয়েছে ১০টি শিক্ষা বিষয়ক সাইট, গুগল ও মাইক্রোসফটসহ ৩’শর বেশি ব্যবসায়িক অ্যাপ। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামাজিক মাধ্যম সাইট-যেমন চীনের উইচ্যাট, দক্ষিণ কোরিয়ার কাকো টক, জাপানের লাইন ও রাশিয়ার ভিকে খুলে দেয়া হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’, ‘পাবজি’র মতো গেমিং অ্যাপগুলো।