মিনহাজুল আবেদীন: [২] করোনাকালেও দৌরাত্ম্য কমেনি কালো টাকার। দশ হাজারের বেশি করদাতা টাকা সাদা করেছেন গেল ১০ মাসে। এতে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব পেয়েছে সরকার।
[৩] বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অনেক সময় অপ্রদর্শিত টাকা বাজারে চলে আসে। কিন্তু এসব টাকাকে যদি মূলধারার খাতে নিয়ে না আসেন তাহলে কিন্তু যথাযথভাবে ট্রিটমেন্ট পাবে না।
[৪] ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, সরকার এবারের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু এতে ব্যবসায়ীরাই বৈষম্যের শিকার হয়। এজন্য আমরা কখনো কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে সমর্থন করি না। এভাবে ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
[৫] কোম্পানি আইন ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ব্যারিস্টার এ এম মাসুম জানান, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ায় অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ বাড়ছে, বিনিয়োগ হচ্ছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এটা একটা পজেটিভ দিক। এতে রাষ্ট্রের বড় অংকের রাজস্ব আদায় হচ্ছে।
[৬] গবেষণা সংস্থা সেন্টার পলিসি ফর ডায়ালগ (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয়কে রেয়াতি কর সুবিধার মাধ্যমে আইনি ভিত্তি দেয়ার প্রক্রিয়ায় সৎ করদাতাদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। এই ধরনের সুবিধা দেয়া হতে থাকলে কর দেয়ার প্রবণতা আরও হ্রাস পেতে পারে।
[৭] ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে অপ্রদর্শিত খাতের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে উচ্চহারে কর বসাতে হবে এই খাতে। সম্পাদনা: রাশিদ