নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মুনিয়ার বড় বোন নুশরাত জাহান তানিয়া বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোসারাত জাহান মুনিয়ার জিদের কাছে আমি পরাজিত ছিলাম। গত ২৬ এপ্রিল সকালে মুনিয়া আমাকে ফোন করে জানায় আনভীর তাকে বিভিন্ন অপবাদ দিচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করি কী অপবাদ দিচ্ছে। সে জানায় আজ তোমাকে সব বলব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি অনেক ভুল করে ফেলেছি। আনভীর আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। আমার অনেক বিপদ। তুমি তাড়াতাড়ি আসো।
[৩] নুসরাত আরও বলেন, মুনিয়া অনেক কান্নাকাটি করে। মুনিয়া আমাকে বলল যে আমি না কী তার (আনভীর) শত্রু শারুনের সঙ্গে যুক্ত। তখন আমি তাকে বললাম হু ইজ শারুন ? তখন সে বলল যে ফোনে তোমাকে আমি এতকিছু বলতে পারব না। তুমি আসো। এরপর সব বিস্তারিত বলব। মামলার প্রধান আসামি সায়েম সোবহান আনভীরসহ অভিযুক্ত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
[৪] সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যমে পাঠক ফোরামের সদস্য হওয়ার সুবাদে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চেনা জানা ছিল মুনিয়ার। আর সেই সূত্র ধরে একটা অনুষ্ঠানে যায় মুনিয়া। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিল বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীর। সম্ভবত সেখান থেকেই মুনিয়া আনভীরের চোখে পড়ে এবং এরকম একটা ছোট মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্কটাকে ব্যক্তিগত পর্যায় নিয়ে যায়। যা আনভীরের পরিবার জানলে এক পর্যায়ে পিয়াসা নামে একজন নারীর মাধ্যমে আনভীরের মা ডেকে নিয়ে মুনিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মুনিয়া যে বাসাটিতে থাকতেন সেটি পিয়াসার বান্ধবী শারমীন শাহেদদের বাড়ি। পিয়াসা আনভীরের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। রমজান মাসে বাড়ীওয়ালার বাসায় ইফতারের একটা ছবি ফেইসবুকে দেওয়ায় মুনিয়ার ঢাকা অবস্থান পিয়াসা জেনে যাওয়ার পর মুনিয়ার পরিনতি হয় মৃত্যু।
[৫] আরও বলা হয়, মৃত্যুর আগে শারমিন ও মুনিয়ার বড়বোন তানিয়ার ফোন আলাপে মুনিয়ার মৃত্যুর আশঙ্কায় উদ্বেগ, লাশ উদ্ধারের সময় রুমের দরজার অবস্থান, রুমের পারিপার্শিক অবস্থা ও মুনিয়ার লিখিত ডায়েরীসহ বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আনভীর দেশে না বিদেশে তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি ও আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় মুনিয়া হত্যায় ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত তারা। মুনিয়া হত্যায় আনভীরের মা, পিয়াসা এবং তার সহযোগী মিশু হাসান, বাড়ীর মালিক, নিরাপত্ত প্রহরী, গাড়ী চালকসহ সন্দেহভাজন সকল ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তারা ৫ দফা দাবী তুলে ধরেন,দাবী আদায় না হলে দেশব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দেন।