শিমুল মাহমুদ: [২] স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনার সময়ে বিশেষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য কোনো দেশই প্রস্তুত ছিল না। করোনা মহামারির মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমেই কেবল স্বাস্থ্য খাতের সঙ্কট মোকাবেলা করা সম্ভব। স্বাস্থ্য কিংবা একক কোনো বিভাগের মাধ্যমে যা সম্ভব নয়।
[৩] তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করোনাপূর্ব অবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের সুযোগ কাজে লাগানো হয়েছে। তবে দেশে টিকার উৎপাদন করতে পারলে টেকসই ব্যবস্থাপনা হবে। রোববার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] স্বাগত বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, লকডাউন একটি চরম ব্যবস্থা। কিছু ক্ষেত্রে বাস্তব কারণ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিথিল করা হচ্ছে। এটি বৈপরীত্য তৈরি করছে। করোনাকাল স্বাস্থ্য খাত কতটুকু ভঙ্গুর তা দেখিয়ে দিয়েছে।
[৫] প্যানেল আলোচক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষ জীবনের চেয়ে জীবিকার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে এটুআই কর্মসূচির মাধ্যমে ডিজিটাল নানান উদ্যোগ ও এর সুফল পেয়েছে মানুষ। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরা হলে সেটি লকডাউন থেকে বেশি কার্যকর হবে।